ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের সোনদহ গ্রামে অবস্থিত শতবর্ষী একটি নিম গাছ নিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড ঘটেছে। ওই গাছটির নিচের মাটি গায়ে মেখে ও খেয়ে বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের কথা ছড়িয়ে পড়েছে! তবে এলাকার সচেতন মানুষের দাবি বিষয়টি আসলে এটি গুজব।
জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলার সোনদহ গ্রামের খয়বর গাজী (৪২) বেশ কয়েক বছর আগে মানষিক বিকারগ্রস্থ ছিলেন। পরিবারের লোকজন তাকে চেইন দিয়ে বেঁধে রাখতো। এই নিম গাছের মাটি সারা গায়ে মেখে এখন খয়বর গাজী পুরো সুস্থ বলে দাবি তার পরিবারের।
এর পর থেকেই এই খয়বর গাজী ওই গাছের গোড়ায় প্রাচীর দিয়ে ঘিরে রাখেন। এই ঘেরা দেয়ার মধে আশপাশের বিভিন্ন রোগাক্রান্ত মানুষ এসে মোমবাতি, আগরবাতি, দই-চিড়া, বাতাসা, ফলমূল, টাকা রেখে যাচ্ছেন এবং গাছের গোড়ার মাটি নিয়ে গিয়ে গায়ে মাখছেন। এর ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মানুষ সুস্থ হয়ে যাচ্ছে, অনেকে আবার এই মাটি খেয়ে আরোগ্য লাভ করছেন বলে দাবি করেছেন। দলে দলে নারী-পুরুষ এই গাছের কাছে আসছেন রোগ নিরাময়ের আশায়।
এলাকার বৃদ্ধরা জানান, গাছটির বয়স আনুমানিক দুইশত বছর হবে। তাদের বাবা-দাদারাও এই গাছটিকে দেখে গেছেন। তবে এলাকার সচেতন মানুষের দাবি এই গাছের কারণে কোন রোগ নিরাময় হচ্ছে। এটি গুজব। ঝিনাইদহে এর আগেও কয়েকবার এই রকম ঘটনা ঘটছে। তার দ্রুত গুজবের ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকবাসী।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল