অধিক লাভের আশায় আখের রসের সাথে চিনি ও রং মিশিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে গুড়। আর এই গুড় দিনাজপুরের হাট-বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির জন্য যাচ্ছে এই আখের গুড়। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে এসব গুড় তৈরির কারখানা।
নবাবগঞ্জের বিনোদনগর ইউনিয়নের কপালদাড়া ও কলমদারপুর গ্রামে দেখা যায়, কয়েকটি গুড় তৈরির কারখানা। কপালদাড়া গ্রামের এরশাদ আলী তার বাড়ির সামনে বসানো কারখানায় গুড় তৈরি করছেন। গুড় তৈরির সময় তিনি তরল গুড়ের ভিতরে বস্তায় বস্তায় চিনি ঢালছেন। গুড় তৈরিতে চিনি কেন দেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি জানান, চিনি দিলে গুড়টি জমবে তাড়াতাড়ি।
তার পাশেই গফুর আলীর কারখানায় আখের রস গরম করতে দেখা যায়। এসময় গফুর আলী জানালেন, অন্যরা যা করেন তিনি তা করেন না। আখের রস দিয়েই তিনি গুড় তৈরি করেন বলে তার দাবি। এছাড়াও ওই গ্রামে রয়েছে জুয়েল ও রেজাউল নামে আরও দু’জনের দু’টি কারখানা।
একই ইউনিয়নের কলমদারপুর(কদমতলী) গ্রামে বাবুল ও আরিফুল নামে দু’জন দুটি গড়ে তুলেছে কারখানা। বাবুল জানালেন, ওই এলাকায় প্রায় ৭০টি গুড় তৈরির কারখানা রয়েছে। গুড় তৈরিতে চিনি ও রং মেশানোর কথা অস্বীকার করে বাবুল বলেন, গুড় পরিষ্কার করতে এক প্রকার গাছের পাতা ও ছাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
জনৈক একজন আখচাষী জানান, গুড় কারখানার মালিকেরা জমি থেকে প্রায় ৪০০ টাকা কুইন্টাল হিসাবে আখ ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। ওই আখের রসের সাথে চিনি ও রং মিশিয়ে গুড় তৈরি করছে। এতে করে চিনি দিয়ে গুড় তৈরি করে তারা বেশি মুনাফা অর্জন করছে। কেন না চিনির চেয়ে গুড়ের বাজার মূল্য বেশি।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক