যশোরের অভয়নগরে সহকারী প্রোগ্রামারকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ওই উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শরিফ মোহাম্মদ রুবেলকে ক্লোজড করা হয়েছে। রবিবার ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এ সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে। একই অভিযোগে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন খানের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে যশোর জেলা প্রশাসন।
কর্মক্ষেত্রে যৌননিপীড়ন ও প্রাণনাশের হুমকির বিষয়ে গত ২২ ডিসেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন অভয়নগর উপজেলার সহকারী প্রোগ্রামার উত্তরা শতদ্রু প্রাচী। অভিযোগের একদিন পর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর প্রথম শ্রেণির এই নারী কর্মকর্তাকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় বদলি করে।
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন খান জানান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শরিফ মোহাম্মদ রুবেলকে ক্লোজ করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। সোমবার তাকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। তাকে পদায়ন করা হয়নি, হেড অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমার বিরুদ্ধেও তদন্ত হচ্ছে। তবে আমি নির্দোষ। আমি কখনোই ওই নারী কর্মকর্তার সাথে কোনো অসদাচরণ করিনি।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানও বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শাম্মী ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ ওই নারী কর্মকর্তা অভয়নগর উপজেলায় সহকারী প্রোগ্রামার হিসেবে যোগদান করেন। গত ২২ ডিসেম্বর তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মাধ্যমে তাকে খারাপ প্রস্তাব দেন। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এসবের প্রেক্ষিতে সম্মান ও আত্মমর্যাদা নিয়ে চাকরি করতে মহাপরিচালকের হস্তাক্ষেপ কামনা করেন এই নারী কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা