রাজবাড়ীর পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলা ও পাংশা পৌরসভার বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
গত শনিবার রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এড. লিয়াকত আলী বাবু এবং ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক এড. কামরুল আলমের স্বাক্ষরিত কমিটির অনুমোদন দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।
বিষয়টি নিয়ে আজ মঙ্গলবার আহ্বায়ক কমিটির একাংশের সদস্যদের নিয়ে সভা আহ্বান করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব এবিএম মঞ্জুরুল আলম দুলাল।
তিনি বলেন, এড. লিয়াকত আলী সংগঠনের নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। এই আহ্বায়ক কমিটি জেলা আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদনকৃত কমিটি নয়। সবার সাথে আলোচনা করে নতুন করে কমিটি ঘোষণা করা হবে।
শনিবার পাংশা উপজেলার শাহ মো. রফিকুল ইসলামকে আহ্বয়ক ও মাহবুবুল হক বকুল মিয়াকে সদস্য সচিব, বালিয়াকান্দিতে মো. গোলাম শওকত সিরাজকে আহ্বায়ক ও খন্দকার মশিউর রহমান চুন্নুকে সদস্য সচিব এবং কালুখালীতে মোহাম্মদ আইনুল হাবিবকে আহ্বায়ক ও রকিবুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে কমিটি ঘোষণা করে জেলা আহ্বায়ক কমিটির একাংশ।
এই কমিটিতে স্বাক্ষর করেননি জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মো. মঞ্জুরুল আলম দুলাল।
তবে আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ হারুন জানান, রাজবাড়ীতে জেলা বিএনপিতে কোন্দল রয়েছে। সবাইকে সন্তুষ্ট করে কমিটির অনুমোদন দেওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া জেলা আহ্বায়ক কমিটি নির্দিষ্ট সময়ে উপজেলার কমিটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। দীর্ঘদিন পর হলেও যে কমিটি অনুমোদন দিয়েছে সেটা ভালো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
কমিটির অনুমোদনের ব্যাপারে রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এড লিয়াকত আলী বলেন, মঞ্জুরুল আলম দুলালের কমিটি অনুমোদনের ক্ষমতা নেই। তার দলীয় কর্মকাণ্ড নিয়ে চরিত্র প্রকাশ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন