বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নে চরমোনাই পীর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। যুবদল ও ছাত্রদলের স্থানীয় ৬ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনকে আসামি করে সোমবার আদালতে মামলা দায়ের করেন চরমোনাই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মো. হাবিব।
বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সেলিম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিচারক মো. আনিছুর রহমান অভিযোগটি গ্রহণ করে একজন উপপরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে দিয়ে অভিযোগ তদন্তের জন্য কোতয়ালী মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় নামধারী অভিযুক্তরা হচ্ছেন চরমোনাই ইউনিয়ন ছাত্রদল শাকিল রাড়ি, যুবদলের বাবুল হাওলাদার, ছাত্রদলের সাইদুল হক, মো. কাওছার, মো. হুমায়ন রাড়ি ও মো. মামুন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, চরমোনাইর রাজারচর খেয়াখাট এলাকায় ইসলামী আন্দোলদের দলীয় কার্যালয় রয়েছে। কার্যালয়টি সেখান থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য স্থানীয় বিএনপি নেতারা দির্ঘদিন ধরে ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের চাপ দিচ্ছে। গত ২৬ ডিসেম্বর কার্যালয়ের সামনে প্রবাসী কল্যাণ সংঘের সদস্যরা দরিদ্রদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। এ সময় সেখানে ছিলেন মামলায় অভিযুক্ত ছাত্রদল-যুবদল নেতাকর্মীরা। তারা ইসলামী আন্দোলনের নেতাকমীদের নানা কটুক্তি করে। এর প্রতিবাদ করলে ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়টি ভাংচুর করে তারা।
চরমোনাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম রাড়ি বলেন, রাজারচর এলাকায় বজলুর রহমান নামে এক ব্যক্তি আগে বিএনপি করতেন, এখন আওয়ামী লীগ করেন। তার সঙ্গে ইসলামী আন্দোলনের বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জেরে রাজারচরে ইসলামী আন্দোলন কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। এ মামলায় ছাত্রদল-যুবদল নেতাকর্মীদের আসামি করায় বিস্মিত তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন