লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত স্বজনদের শনাক্ত করার জন্য বরগুনায় দুই দিনে (মঙ্গলবার পর্যন্ত) ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ৪৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোলরুমে ৩৬ জনের নিখোঁজ তালিকা তৈরী করা হয়। যাদের মধ্যে পাথরঘাটার শিশু তাবাচ্ছুম ও লঞ্চের সহকারি বাবুর্চি শাকিল মোল্লার লাশ শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, তাদের কাছে এখনো ৩৪ জন নিখোঁজের তালিকা রয়েছে। গত ২৫ ডিসেম্বর পোটকাখালীর গণকবরে অজ্ঞাত ২৩ জনের মরদেহ ২১টি কবরে দাফন করা হয়েছে। দাফনের আগে ডিএনএ সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া এসব লাশের দাবিদারদের ডিএনএ সোমবার বিকেল থেকে নেওয়া শুরু হয়ে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত যুব রেডক্রিসেন্ট সদস্যদের সহযোগিতায় আরও ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
সিআইডির ডিএনএ পরীক্ষক রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, বুধবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ৩০ জনের লাশ শনাক্ত করার জন্য ৪৩ জনের নমুনা নেয়া হয়েছে। অভিযান-১০ লঞ্চ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল