সুগন্ধা নদী এমভি অভিযান-১০ নামে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর মোহনা থেকে এক নারীর (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিষখালী নদীর মানকিসুন্দর এলাকা থেকে আরও এক যুবকের (৩৫) মৃতদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
মরদেহ দু’টিতে আগুনে পোড়ার চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে অভিযান লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৬ দিনে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের উদ্ধার কর্মীরা সুগন্ধা ও বিষখালী নদী থেকে শিশুসহ ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর মোহনায় এক নারী ও বিষখালী নদীর মানকিসুন্দর এলাকায় এক যুবকের মৃতদেহ ভাসতে দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা দুজনেরই মৃতদেহ উদ্ধার করে। তাদের শরীরের আগুনে পোড়ার চিহ্ন রয়েছে। লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
এদিকে, সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আজ ষষ্ঠ দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে। অগ্নিকাণ্ডের সময় প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়াদের খুঁজতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকর্মীরা সকাল থেকে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে সন্ধান চালাচ্ছে। পাশাপাশি কোস্টগার্ডও দুটি নদীতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। নিখোঁজ রয়েছেন এখনো অনেকে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর