পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিভাজন করা ও আগামী নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে গ্রামের জনগণ। উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ এর ব্যানারে মঙ্গলবার রাতে আনন্দ বাজার সংলগ্ন মাঠে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আব্দুল রব মৃধার।
প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, ধানখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাজাদ পারভেজ টিনু মৃধা, সাধারণ সম্পাদক জাকির মৃধা, ইউনিয়ন ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি দলিল উদ্দিন মাতুব্বর, ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আবুল হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম ফকু মৃধা প্রমুখ। এ সময় ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, ২০২৩ সালের মার্চে ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচন বানচাল করতে ওই ইউনিয়নের ৭, ৮, ৯ এবং ২, ৪ ও ৬ নং ওয়ার্ডকে বিভাজন করার লক্ষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পটুয়াখালীর উপ-পরিচালক বরাবরে আবেদন করেছে ইউনিয়ন পরিষদ। গত ২৪ আগষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুকদার রেজুলেশন করে এ আবদেন করেন। ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয় ৭,৮,৯ এর কৃষি জমিসহ সকল স্থাপনা এবং ২,৪, ৬ নং ওয়ার্ডের জমি ঘর আংশিক অধিগ্রহন করা হয়। অধিগ্রহনকৃত গ্রামের সকল অধিবাসীকে সরকারী আবাসনে অন্যত্র পুর্নবাসিত করা হয়েছে। এসব ভুল্য তথ্য দিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অফিসে আবদেন করায় ফুসে ওঠে স্থানীয় জনগন। মূলত নির্বাচন স্থগিত করার লক্ষে বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়ার্ড বিভাজনের কৌশল অবলম্বন করেছেন বলে প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তারা বলেন।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি শাহাজাদ পারভেজ টিনু মৃধা বলেন, মূলত বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়ার্ড বিভাজনের মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে নির্বাচন স্থগিত করার মাধ্যমে দীর্ঘসময় ক্ষমতা ধরে রাখার মিথ্যা পায়তারা করছে। এর প্রতিবাদ করেছে এসকল মানুষ।
এ বিষয়ে ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুকদার বলেন, নির্বাচন বানচাল করা আমার উদ্দেশ্য নয়। যথাসময়ে নির্বাচন হোক এটা আমিও চাই। তবে জমি অধিগ্রহনে যে সকল ভোটার স্থানান্তরিত হয়েছে তাদের বিষয়ে সঠিক সমাধান হওয়া জরুরি বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
বিডি প্রতিদিন/এএ