লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় দোলাপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। অপর একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোরে হাতীবান্ধা উপজেলার দোলাপাড়া সীমান্তের ৮৮৮ নং মেইন পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- নাজির হোসেন মংলু (৪০) ও সাদিক হোসেন (২৩)। নিহত নাজির হোসেন মংলু উপজেলা ফকির পাড়া ইউপির পুর্ব ফকিরপাড়া গ্রামের আব্দুর সামাদের ছেলে। সাদিক হোসেন উপজেলার বড়খাতা দোলাপাড়া গ্রামের হাফিজার রহমান ছেলে।
ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সাজু (২৫)। সে উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের পুর্ব ফকিরপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত সাজু রংপুরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন আছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলা সীমান্ত দিয়ে ১০/১২ জনের একটি দল ভারত থেকে গরু নিয়ে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসছিলেন। এসময় সীমান্তের ৮৮৮ মেইন পিলারের অধীন ৮নং নম্বর সাব–পিলার এলাকায় পৌঁছলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার সিতাই থানার ১৭৫ বড় মধুসূদন অমৃত বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালান। এসময় ভারতের অভ্যন্তরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান দুই বাংলাদেশি। পরে অন্যান্য সঙ্গীরা নিহতদের উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাফিজুল ইসলাম জানান, ভারতে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ নিজ বাড়িতে আছে।
হাতিবান্ধা থানার ওসি শাহা আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গুলিতে নিহত দুজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
৬১ বিজিবি রংপুরের পরিচালক লে.কর্ণেল শাহারিয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফ'কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিএসএফ কেন এ কাজটি করেছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। তবে এখনো বিএসএফ'র পক্ষ থেকে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। পুলিশকে বলা হয়েছে লাশ দুইটির ময়নাতদন্তের কাজ সম্পন্ন করতে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ