পাবনার ওপর দিয়ে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পরেছেন। শুক্রবার পাবনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে পাবনার এই অঞ্চলে দিনের আলো নামার আগেই নামছে কুয়াশা ও হালকা বাতাস। ফলে বেড়েছে শীতের দাপট। শুক্রবার সকালে সর্বনিম্ন ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও শীতের মাত্রা ছিল বেশি।
এদিক, হঠাৎ কনকনে শীত নামায় উষ্ণ কাপড়ের দোকানে নেমেছে মানুষের ভিড়। গরম কাপড়ের বিকিকিনিও বেড়েছে।
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে ছিন্নমূল ও দুস্থ মানুষ পড়েছে বিপাকে। গরম কাপড় না থাকায় শীত নিবারণের জন্য আগুন জ্বালিয়ে খানিকটা উষ্ণতার পরশ খুঁজতে দেখা গেছে ছিন্নমূল মানুষকে।
এদিকে আবহাওয়ার বৈরি প্রভাবে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে শহর-গ্রামাঞ্চলে। সে কারণে হাসপাতালগুলোতে দেখা যাচ্ছে শীতকালীন রোগীদের আনাগোনা।
গত দুই-তিনদিনে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যা বেশি। এজন্য শিশু ও বৃদ্ধদের সবসময় গরম কাপড় পরিয়ে রাখার পাশাপাশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন জানান, এবার শীতার্ত মানুষের সহায়তায় জেলায় দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার মানুষের মধ্যে এসব কম্বল বিতরণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল