বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বলেছেন, সুন্দরবনে ভুল করে আবারো যারা দস্যুতায় নেমেছে তারা আত্মসমর্পণ করতে চাইলে তাদের সুযোগ দেয়া হবে। বনদস্যুতা ছাড়লে তাদেরকে বেসরকারি চাকরি দেওয়া হবে। তাদের ছেলে-মেয়েদেরকে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেয়া হবে। এরপর যদি কেউ সুন্দরবনে বনদস্যুতা চালাতে চায় তাদের দমন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, যারা দরিদ্র জেলে-বনজীবীদের দাদন দেন, মহাজনী করেন তারাই সুন্দরবনের দস্যুদের লালনপালন ও আশ্রয় দিয়ে থাকেন। পুলিশ এ নিয়েও কাজ করছে। যারা এসব করছেন তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
সুন্দরবন দস্যুমুক্ত রাখতে আত্মসমর্পণকৃত বনদস্যুসহ জেলে-বনজীবীদের সাথে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা, শীতবস্ত্র ও উপহার সামগ্রী বিতরন অনুষ্ঠানে এসপি এসব কথা বলেন।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে মোংলা থানা পুলিশ দ্বীগরাজ কলেজ মাঠে এই মতবিনিময় সভায় আয়োজন করা হয়। মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল, মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমানসহ সুন্দরবনের আত্মসমর্পণকৃত বনদস্যুসহ জেলে-বনজীবীরা।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার আরও বলেন, সুন্দরবন চার বছর দস্যুমুক্ত থাকার পর বর্তমানে নয়ন বাহিনী ছোট্ট একটি দল জেলেদের উপর হামলা করছে। এ খবরের সাথে সাথে পুলিশের অভিযানে ওই দস্যুবাহিনীর তিনজনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরাও পুলিশের জালের মধ্যে রয়েছে। আত্মসমর্পণ না করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সুন্দরবন বিভাগের হয়রানি ও চাঁদাবাজী বন্ধের আশ্বাস দিয়ে তিনি চাঁদাবাজী বন্ধে জেলেদের ঐক্যবদ্ধ ও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।
পরে পুলিশ সুপার সুন্দরবনের দুইশত আত্মসমর্পণকৃত বনদস্যুসহ জেলে-বনজীবীদের মাঝে কম্বল ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল