দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতটায় কাছে আসছে বগুড়ার সাতটি আসনে ততটায় ব্যস্ততা বেড়েছে প্রার্থী ও তাদের কর্মীদের। ভোটের মাঠের প্রার্থীরা ভোট চাইতে ঘরে ঘরে যাচ্ছেন। নিজের পক্ষে ভোটারদের টানতে মরিয়া হয়ে আছেন প্রার্থীরা। আর সমর্থকরা বলছেন, উন্নয়ন যিনি করবেন তাকেই ভোট প্রদান করা হবে। তবে বগুড়ায় আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেয়া তিনটি আসনে স্বস্থিতে নেই শরীকরা। দেখা দিয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা। আর অপর চারটি আসনে আলোচনায় আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
জানা যায়, সংসদ নির্বাচনের জন্য বগুড়ায় আছে ৭টি আসন। ৭টি আসনই জেলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জেলার সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আসন বগুড়া-৬ সদর। জেলার সাতটি আসনেই এখন নির্বাচনের আমেজ বইছে। প্রার্থীদের সমর্থকরা প্রচার প্রচারণা করছেন। জেলার ৭টি আসনেই রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী তৎপরতা বেড়ে গেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীদের গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারনা চলছে। ফলে বগুড়ায় জমে উঠেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বগুড়ার ৭টি আসনের নৌকার প্রার্থীরা নির্বাচনের মাঠ সরগরম রেখেছেন। দিন-রাত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন। সাধারণ মানুষের কাছে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরছেন।
বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাহাদারা মান্নান এমপি। এখানে তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান (ঈগল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপি (তবলা)। তবে বিএনপির সাবেক নেতা মোঃ শোকরানাও (কেটলি)তে প্রচার প্রচারণা করে বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছেন। সাহাদারা মান্নান এমপি থেকে বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ করায় তিনিও রয়েছেন আলোচনায়।
বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেয়া আসনে মহাজোটের প্রার্থী হয়েছেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ। শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ তার নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরে গণসংযোগ করছেন। বর্তমান এমপি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ ২০১৪ ও ১৮ সালে আওয়ামী লীগের শরীক দল হিসেবে এমপি হয়েছিলেন। এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিক। তিনি প্রত্যাহার করলে জিন্নাহ মহাজোটের প্রার্থী হয়ে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তার সাথে মুল লড়াইটি হতে যাচ্ছে জেলা বিএনপির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী বিউটি বেগম এর সাথে। বিউটি বেগম ট্রাক প্রতীক নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তার সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতাকর্মীকে দেখা গেছে।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনটি বরাবরই জোটের শরিক দল জাসদকে ছেড়ে দেয়া হয়। দলীয় সিদ্ধান্তে এই আসনে জোটের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে থাকে। এবারও এই আসনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন জেলা জাসদের সভাপতি রেজাউল করিম তানসেন। মাঠ বেশ গুছিয়েছেন বিএনপির সাবেক নেতা ও এমপি ডা. জিয়াউল হক মোল্লা। এই আসনে নৌকার প্রার্থী জেলা জাসদের সভাপতি রেজাউল করিম তানসেন খুব একটা স্বস্থিতে নেই। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থীর সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মোল্লার লড়াই হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম