নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অবঃ) বলেছেন, ‘বাইরের নিরাপত্তা আমরা দেব, আপনারা ভোটকেন্দ্রের ভিতরের নিরাপত্তা দিলে সম্মিলিতভাবে একটি অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ উপহার দেওয়া সম্ভব হবে।’ তিনি আজ যশোরের শার্শা উপজেলা চত্বরে নিবার্চনের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং এবং পোলিং এজেন্টদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের পরিচয় তারা সন্ত্রাসী তাদের কোন দল নেই। নির্বাচনে কোন গোলযোগ সৃষ্টির পায়তারা করা হলে র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী তাদের কঠোর হস্তে দমন করবে।... ভোট অধাধ নিরপেক্ষ করার জন্য ভোট কেন্দ্রে সাংবাদিক কিংবা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সাথে জড়িতরা প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট থেকে অনুমতি নয় তাকে অবহিত করে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ এবং ভেতরে ছবি তুলতে পারবেন।’
পরে স্থানীয় সাংবাদিকের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের দিন কোন কেন্দ্রে ভোটডাকাতির চেষ্টা করা হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হবে। জোরপূর্বক বা জাল ভোট প্রদানে সহায়তার অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড বা চাকুরিচ্যুত করা হবে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রধান বিরোধী দলবিহীন নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা পাবে এমন প্রশ্নের জবাবে আহসান হাবিব বলেন, ‘সংবিধান রক্ষার জন্য নির্বাচন করা হচ্ছে। ৪৪ টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ৩৯টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বড় বড় দলগুলো অংশ নিলে ভাল হতো, আমরা তাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা নির্বাচনে না এলে আমাদের করার কি আছে।’
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল