মিয়া আলাউদ্দিন
[সা. সম্পাদক, প্রদর্শক সমিতি]
দর্শক এখন ভালো পরিবেশে ভালো ছবি দেখতে চায়। এ জন্য বিশ্বব্যাপী সিনেপ্লেঙ্ সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। তাই অন্য দেশগুলোর ছবি ব্যবসায়িক সফলতা পাচ্ছে। সরকারের কাছে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছি, যাতে শপিং কমপ্লেক্স সিনেপ্লেক্স নির্মাণ বাধ্যতামূলক করা হয়। এটি করতে হলে প্রথমে মার্কেটে এনওসি প্রথা বাতিল করতে হবে। ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে কমপক্ষে ৩-৪টি করে সিনেপ্লেঙ্ গড়ে তুলতে হবে। এ ছাড়া চলচ্চিত্রের উন্নয়ন অসম্ভব।
খোরশেদ আলম খসরু
[সাবেক সি. সভাপতি, প্রযোজক সমিতি]
সিনেপ্লেঙ্ ছাড়া চলচ্চিত্র ব্যবসা ধরে রাখা এখন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বর্তমানে এটি উচ্চাভিলাষ নয়, বাস্তবতা। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে এই বাস্তবতাকে অনেক আগেই মেনে নেওয়া উচিত ছিল। তাহলে এ দেশের চলচ্চিত্র ব্যবসায় ধস নামত না। দর্শক পেয়ে সিনেমা হল মালিক এবং নির্মাতা উভয়েই উপকৃত এবং মানসম্মত ছবি নির্মাণ হতো। তাই শীঘ্রই সিনেপ্লেক্স সংখ্যা বাড়ানো দরকার।
শহীদুল ইসলাম খোকন
[সভাপতি.পরিচালক সমিতি]
চলচ্চিত্র ব্যবসার উন্নয়নে সিনেপ্লেক্স বিকল্প নেই। এটি এখন সময়ের দাবি। বিশ্বের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও রুচি পাল্টেছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোতে পারিনি বলেই আমরা পিছিয়ে গেছি। এ ব্যবস্থার প্রসার ঘটলে দর্শক-নির্মাতা-হল মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই উপকৃত হবে। অচিরেই সারা দেশে সিনেপ্লেক্স ব্যবস্থা চালু করতে পারলে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়াবে।
সোহানুর রহমান সোহান
[সি. সহ-সভাপতি, পরিচালক সমিতি]
দর্শক এখন শুধু সিনেমা দেখতে চায় না। একই সঙ্গে শপিং, খাওয়া-দাওয়া, বাচ্চাদের খেলাধুলার ব্যবস্থা চায়। এর প্রমাণ স্টার সিনেপ্লেক্স। তাই সিনেপ্লেক্স সংখ্যা বাড়াতে পারলে একটি ছবিতে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে। এক্ষেত্রে সরকারি সহযোগিতা জরুরি। কারণ গরিব দেশে ইচ্ছা থাকলেও সবার সামর্থ্য থাকে না। সরকার যদি নামমাত্র সুদে ১০ বছরের জন্য সিনেপ্লেক্স নির্মাণে ব্যাংক লোন দেয় তাহলে চলচ্চিত্র শিল্প বেঁচে যাবে।
আবু মুসা দেবু [সভাপতি. এডিটরস গিল্ড]
যুগ ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল না মেলালে কোনো ক্ষেত্রেই অগ্রগতি সম্ভব নয়। যার প্রমাণ চলচ্চিত্র শিল্প। এ ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি বলে আমাদের চলচ্চিত্র বেহাল দশায় পড়েছে। দর্শক সিনেমা দেখতে চায়। কিন্তু ভালো পরিবেশের অভাবে তারা হলে যেতে পারছে না। চলচ্চিত্রকারদের সঙ্গে সঙ্গে সরকারকেও সিনেপ্লেক্স নির্মাণে উদ্যোগী হতে হবে। কারণ সামর্থ্য নেই বলে চাইলেই লক্ষ্য অর্জনে সবাই এগোতে পারছে না। সরকারকে সহজ শর্তে লোন দিতে হবে, যাতে মান্ধাতার আমলের হল ভেঙে সেখানে মাল্টিপ্লেক্স গড়ে তোলা যায়। পাশাপাশি হল বন্ধ করা রোধে আইনের প্রয়োগ কঠোর করতে হবে।
শাকিব খান [সভাপতি. শিল্পী সমিতি]
এখন বিশ্বজুড়ে সিনেপ্লেক্স কালচার চলছে। সিনেমা হচ্ছে আয়েশি বিনোদন। দর্শক একই সঙ্গে সিনেমা দেখা, শপিং করাসহ অনেক কাজ একসঙ্গে করতে চায়। তাই সিনেপ্লেক্স ব্যবস্থা এখন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। পার্শ্ববর্তী ভারতেও এ ব্যবস্থা ব্যাপকহারে প্রসার ঘটায় তাদের চলচ্চিত্র শিল্প রমরমা অবস্থায় রয়েছে। উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারকে সিনেমা হলে ফিরিয়ে আনতে এখন সিনেপ্লেক্সের বিকল্প নেই।
মিশা সওদাগর [সা. সম্পাদক, শিল্পী সমিতি]
চলচ্চিত্র শিল্পের প্রসারে অবশ্যই সিনেপ্লেক্সে সংখ্যা বাড়ানো উচিত। এক্ষেত্রে টিকিটের মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালে রাখা এবং সব ধরনের ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। এতে শুধু দর্শক এবং হল মালিকই লাভবান হবে না, নির্মাতারা মানসম্মত ছবি নির্মাণে উৎসাহিত হবে এবং দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পে প্রাণের সঞ্চার ঘটবে। এতে বিশ্বমানের চলচ্চিত্র নির্মাণেও জোয়ার আসবে।