প্রথমে 'গেম' অতঃপর 'অন্তরে অন্তরে'। চলচ্চিত্রের রুপালি পথে এর পরের যাত্রা কেমন চলছে?
বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই পথ চলছি। এরই মধ্যে সুমনের 'আমার মন ছুঁয়ে তুমি' চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করলাম। প্রচুর প্রস্তাব পাচ্ছি। তবে বেশির ভাগ গল্পই বড্ড সেকেলে। তাই ইচ্ছা করেই সব কাজ হাতে নেই না। দর্শক এখন নতুন কিছু চায়। তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলে শিল্পীর সার্থকতা কোথায়। তাই পরিমাণে কম হলেও দর্শকের মন বুঝে কাজ করাকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করছি।
চলচ্চিত্রের আপকামিং একট্রেস আপনি, আপনার যাত্রা শুরু কিংবা পথচলার গল্পটাই শুনি-
একেবারে ঝকঝকে তকতকে পথে হেঁটে চলেছি। চলচ্চিত্রকে ঘিরে ভালো লাগাগুলো রঙিন প্রজাপতি হয়ে আমার চারপাশে উড়ে বেড়াচ্ছে। যাত্রা শুরুর গল্পটাই বলি। শুরুতে তো বিজ্ঞাপন, ফটোশুট নিয়ে মজা করে এগুচ্ছিলাম। পত্রিকায় আমার ছবি দেখে চলচ্চিত্র নির্মাতারা প্রস্তাব নিয়ে আসতে শুরু করেন। কিন্তু ফ্যামিলি রাজি ছিল না। এক সময় রয়েল ও অনিক ভাই 'গেম' ছবির গল্প নিয়ে এলেন। সৌখিন ভাইয়ের [জাকারিয়া সৌখিন] লেখা চমৎকার গল্প এবং এতে নায়িকার চরিত্রটি কম বয়সী একটি বোকাসোকা মেয়ের। গল্পটি আমার এবং আমার পরিবারের ভালো লেগে গেল। ব্যস, 'গেম' নিয়ে আমার যাত্রা শুরু হলো। মাস, দিনক্ষণ মিলে এই যাত্রার বয়স এখন প্রতিদিনই বাড়ছে।
'গেম' থেকে 'অন্তরে অন্তরে'। মানে রিমেক এ চলচ্চিত্রে নিজের মধ্যে মৌসুমীকে ধারণ করা কতটা সহজ মনে হয়েছে?
একটুও সহজ না। মৌসুমী আপুর চরিত্রে কাজ করা মানে কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হওয়া। প্রথম দিন তো ভয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। পরে নিজেকে সহজ করতে সিদ্ধান্ত নিলাম মৌসুমী আপুকে কপি করা নয়, নিজের মতো করে এগোতে হবে। ব্যস, তখনই এই চরিত্রের পথ ধরে এগোনো আমার জন্য একেবারে সহজ হয়ে গেল।
আপনার প্রথম ছবি 'গেম'ই প্রথমে মুক্তি পাচ্ছে। কি মনে হয়, 'গেম' কি জমে উঠবে নাকি গোল্লা পাবে?
'গেম' জমে উঠবে, টানটান উত্তেজনা থাকবে- আমি কনফিডেন্ট এ ব্যাপারে। কারণ আমাদের এ ছবিটির গল্প খুব স্ট্রং। দর্শককে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে পরিণতি জানার জন্য। কেউই আগে থেকে অাঁচ করতে পারবে না কী হবে।
'অন্তরে অন্তরে' কখন বড় পর্দায় আসছে?
হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। কারণ বেশ কিছু কাজ এখনো বাকি রয়ে গেছে। এপ্রিলে শেষ পর্যায়ের শুটিং শুরু হবে। সব মিলিয়ে এ বছরই ছবিটি নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হতে পারব বলে আশা করছি।
এবার অন্য ব্যস্ততার গল্প শোনা যাক-
পড়ালেখা, গান শোনা, ঘুরে বেড়ানো আর ফেসবুকে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে ছোট্ট জীবনের সোনালি-রুপালি সময়গুলো বেশ আনন্দেই কেটে যাচ্ছে। কয়েকটি টিভিসিতে কাজের কথা চলছে। হয়তো শীঘ্রই শুরু করব। তখন ব্যস্ততা আরও বেড়ে যাবে। মানে প্রচণ্ড ব্যস্ততায় হাবুডুবু খেতে রীতিমতো কোমর বেঁধে নামতে হবে বলে মনে হচ্ছে।
- শোবিজ প্রতিবেদক