চুপিসারে প্রেম, হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়া কিংবা রাতবিরাতে গাড়ি করে ঘুরে বেড়ানো- তার সব কিছুতেই যেন রহস্যের গন্ধ পাওয়া যায়। শুরু থেকেই রহস্যময়ী ছিলেন সারিকা। তাকে কেউই সঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারেনি। সারিকার সে সময়ের প্রেমিক নিরবও তাকে ঠিকমত বুঝে উঠতে পারেননি। নিরব নিজেই স্বীকার করেছিলেন সে কথা।
এ কারণেই নিরবের মধ্যে তাকে ঘিরে নানা বিষয়ে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দানা বাঁধতে থাকে। তাই দীর্ঘ প্রণয়ের পরও অবশেষে তাদের সম্পর্ক ভাঙনে রূপ নেয়।
এরপর সারিকা অনেকের সঙ্গেই মিশেছেন। কাছের বন্ধুও জুটিয়েছেন অনেক। দু-একজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কও গড়েছেন। কিন্তু সেসবও টিকেনি। সব রহস্য ভেঙে সবশেষ সারিকা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এখন আর কোনও এদিক-সেদিক নয়। পড়াশোনা এবং বিয়ে করে সংসারী হওয়া ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে রাজি নন তিনি।
যেমনি কথা তেমনি কাজ। প্রেমিক মাহিম করিমকেই বিয়ে করার সব বন্দোবস্ত করেন। মাহিম করিমও একপর্যায়ে রাজি। সারিকার বাবা-মা মেয়ের ভালোর জন্য সেখানেও দ্বিমত করেননি। দুই পরিবারের নিজস্ব বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ৪ এপ্রিল আকদ অনুষ্ঠানের তারিখ।
এ বিষয়ে সারিকা বলেছিলেন, 'হবু বর ব্যবসায়ী মাহিম করিম। উভয় পরিবারের সম্মতিতেই তাদের আকদ হচ্ছে।'
কিন্তু নির্দিষ্ট তারিখে সে আকদ আর হয়নি। এ নিয়ে সারিকা এবং তার পরিবারের মুখে এখন ভিন্ন সুর। তারা বলছেন, 'ছেলেটি মোটেই ভালো নয়। আল্লাহ বাঁচিয়েছেন। নতুবা সারিকার জীবনে যে কি অবস্থা হতো।
এমন খবরে চারদিকে হই-হুল্লোড় পড়ে যায়। যেই সারিকা প্রেমিক নিরব থেকে সরে গিয়ে, সাধের মিডিয়া ছেড়ে দিয়ে, আকাশ সমান মানুষের ভালবাসা দূরে রেখে একান্তই নিজের মতো করে জীবন গোছানোর কথা ভাবছেন, সেই সারিকা সেখানে গিয়ে আবারও হোঁচট খাচ্ছেন।
সারিকার নিঃসঙ্গ সময়টার সুযোগ নিয়ে মাহিম তাকে প্রেমের জালে ফেলেন। সারিকাও একটু ভালোবাসার আশায় সেই জালে ধরা দেন। সারিকা তার পরিবারে ছেলেটিকে উপস্থাপন করান এবং পরিবারও পছন্দ করে। ফলে তারা পরস্পরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
কিন্তু হঠাৎ করে এক অজানা ঝড়ে চারদিক আবার লণ্ডভণ্ড। আকদ হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে কিছুই হয়নি। বরং শোনা যায়, সারিকা ছেলেটির আসল চেহারা ধরে ফেলে এবং তার সঙ্গে সম্পর্ক করতে এখন নারাজ। এতে বোঝা যায়, সারিকাকে নিয়ে আবারও রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে গাজী শুভ্রর পরিচালনায় গ্রামীণফোনের ডিজুস প্যাকেজের বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে মিডিয়ায় অভিষেক হয়েছিল সারিকার। স্বল্পসময়ের ব্যবধানেই দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন তিনি। তবে বিতর্ক যেন তার পিছু লেগেই ছিল। খামখেয়ালিপনা, কাজে উদাসীনতা, সিডিউল ফাঁসানোসহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে প্রায়ই শোনা যেত।
অবশ্য এবার সারিকা তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অবসান ঘটিয়ে সাংসারিক জীবনে প্রবেশ করবেন- এটাই ছিল সবার প্রত্যাশা।