পূর্ণিমা সবসময় নায়িকাই থাকতে চেয়েছেন। পর্দায় মায়ের চরিত্র তো দূরের কথা, বড় বোন কিংবা ভাবীর চরিত্রেও অভিনয়ে ব্যাপক আপত্তি রয়েছে। সেই পূর্ণিমা এবার বাস্তবেই মা হয়েছেন। গত ১৩ এপ্রিল রাত ১০টা ২০ মিনিটে রাজধানীর টিকাটুলীর হাটখোলা রোডে অবস্থিত সালাউদ্দিন স্পেশালাইজড হসপিটালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে পূর্ণিমার কোল আলোকিত করে এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। হাসপাতালের ৫০১ নম্বর কেবিনে মেয়েকে নিয়ে সুস্থাবস্থায় আছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। তিনি বলেন, 'আমার প্রথম সন্তান মেয়ে হয়েছে, এ জন্য সবাই ভীষণ খুশি। মা হিসেবে আমিও ভীষণ খুশি। সবাই আমার সন্তানের জন্য দোয়া করবেন যেন সে সুস্থভাবে বেঁচে থাকে।' পূর্ণিমা নিজের কন্যাসন্তানকে রাজকন্যা এবং পরীর সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, 'আমার মেয়ে পরীর মতো সুন্দর হয়েছে। আর সে তো আমার রাজ্যের রাজকন্যা।'
এদিকে গতকাল পূর্ণিমা তার মেয়েকে নিয়ে বাসায় ফেরার কথা থাকলেও আজ বাসায় ফিরবেন বলে জানা গেছে। কিংফিসার এয়ারলাইন্সে কর্মরত চট্টগ্রামের ছেলে আহমেদ ফাহাদ জামালের সঙ্গে ২০০৭ সালে পূর্ণিমার বিয়ে হয়। বিয়ের পরও চলচ্চিত্রে কাজ করলেও সন্তানের মা হওয়ার কিছুদিন আগে পূর্ণিমা কাজ থেকে বিরতি নেন। সর্বশেষ তার অভিনীত সোহানূর রহমান সোহান পরিচালিত 'লোভে পাপ পাপে মৃত্যু' ছবিটি মুক্তি পায় চলতি বছরের ভালোবাসা দিবসে।
১৯৯৭ সালে জাকির হোসেন রাজুর 'এ জীবন তোমার আমার' ছবিতে চিত্রনায়ক রিয়াজের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে চলচ্চিত্রে পূর্ণিমার যাত্রা শুরু হয়। এরপর তিনি 'মনে রেখো আমায়', 'নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি', 'মনের মাঝে তুমি', 'হৃদয়ের কথা', 'আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা'সহ আরও অনেক সফল ছবিতে অভিনয় করেন।
কাজী হায়াৎ পরিচালিত 'ওরা আমাকে ভালো হতে দিলো না' ছবিতে অভিনয় করে পূর্ণিমা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। বর্তমানে পূর্ণিমা অভিনীত মুহম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের 'ছায়া-ছবি' চলচ্চিত্রটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।