গতানুগতিক প্রশ্ন দিয়েই শুরু করি, ঢাকা কেমন লাগছে?
হুম, ভালো লাগারই কথা, কারণ দুই বাংলার মানুষের আত্দার মিল সুদৃঢ়। আশা-ভাষা একই। শুধু মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া। তারপরও সেই বেড়া কি দুই বাংলাকে আলাদা করতে পেরেছে। এ ছাড়া আমার দিদা সুচিত্রা সেনের বাড়ি তো এখানেই। তাই দুই বাংলার সঙ্গেই আমার পরমাত্দার সম্পর্ক।
ঢাকার ছবি দেখা হয়?
সত্যি বলতে দেখা হয় না। কারণ কলকাতায় ঢাকার ছবি পাওয়া যায় না। এমনকি এখানকার টিভি চ্যানেলও সেখানে প্রচার হয় না। চ্যানেল থাকলে তাতে না হয় দেখতে পেতাম। মিডিয়ার আদান-প্রদান দু বাংলার ক্ষেত্রে অনেক দুর্বল। এটা থাকা উচিত নয়।
তাহলে আপনার কথায় দুবাংলার ছবি আর টিভি চ্যানেলের আদান-প্রদান হওয়া জরুরি?
অবশ্যই, কারণ আমরা একই ভাষায় কথা বলি। আমাদের দেশের সীমানা বা মনের দূরত্ব নেই বললেই চলে। মিডিয়ার আদান প্রদান হলে এই নিবিড় সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
এ দেশের ছবিতে অভিনয় করবেন?
কেন নয়, দিদার (সুচিত্রা সেন) সূত্রে আমি তো এ দেশেরই মেয়ে। এই তো কিছুদিন আগে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত 'যুদ্ধশিশু' ছবিতে অভিনয় করলাম। এতে কাজ করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ এবং এ দেশ সম্পর্কে বেশি করে জানতে পারলাম, তাই ভালোলাগাটাও আরও বেড়ে গেছে। গত বছর 'সদরঘাট' শিরোনামে ঢাকার একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে নির্মাণ কাজ এগোয়নি। আশা করছি, শীঘ্রই শুটিং শুরু হবে। আর অন্য ভালো ছবির প্রস্তাব পেলে অবশ্যই করব।
প্রথমবারের মতো ঢাকার কোনো পণ্যের মডেল হলেন, ভালোলাগা কেমন?
ভালোলাগার পরিমাণটা সত্যিই অনেক বেশি। কারণ এই প্রথম ঢাকার কোনো একটি পণ্যের মডেল হলাম। শুটিংয়ের সময় থেকেই আমি খুব রোমাঞ্চিত। এখন দর্শক প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি। দর্শক সাড়া পেলে এখানকার কাজে নিয়মিত হব।
আবার কখন ঢাকায় আসছেন?
আগামী বছর বিশেষ একটি কাজে ঢাকা আসার কথা রয়েছে। এ ছাড়া হঠাৎ আসার মতো কোনো কাজ থাকলে যে কোনো সময় আসতে পারি। কারণ আবারও বলছি, বাংলাদেশ তো আমার নিজেরই দেশ।
শোবিজ প্রতিবেদক