প্লাস্টিক সার্জারি করে চেহারায় পরিবর্তন আনার পর সেটা কিছুতেই স্বীকার করতে চান না বলিউড সুন্দরীরা। যেমন ধরা যাক আনুশকা শর্মার কথা। 'কফি উইথ করণ' অনুষ্ঠানে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল আনুশকার ঠোঁটে পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু অকপটে অস্বীকার করলেন তিনি। বললেন, ঠোঁটের কোনো সার্জারিই তিনি করাননি। শুধু তাই নয়, উল্টো অভিযোগ করে বললেন, মিডিয়া ইচ্ছে করে এসব গুজব রটাচ্ছে।
বলিউডে এটা একটা মামুলি ঘটনা। কেউই প্লাস্টিক সার্জারির কথা স্বীকার করেন না। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কোয়েনা মিত্র। তিনি সর্বসমক্ষে স্বীকার করেছিলেন প্লাস্টিক সার্জারির কথা। ২০০৯ সালে কোয়েনার মুখের অনেক বৈশিষ্ট্য বদলে যায়। পরে জানা যায় তিনি রাইনোপ্লাস্টি আর ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট করিয়েছেন।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার নাকের প্লাস্টিক সার্জারির বিষয়টা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। কিন্তু আজ পর্যন্ত তিনি সেটা প্রকাশ করেননি। অবশ্য অস্বীকারও করেননি। যখনই তাকে এ সব নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছেন, তিনি কিছু না কিছু বলে পাশ কাটিয়ে গেছেন। ২০০৩ সালে 'জিসম' (২০০৩) মুক্তি পাওয়ার পর বিপাশার ফিগার দেখে বোঝাই যাচ্ছিল তিনি ব্রেস্ট এনহ্যান্সমেন্ট করিয়েছেন। কিন্তু তিনিও চুপ।
শিল্পা শেঠির কথাই ধরা যাক। 'বাজিগর' বা 'ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি' আর 'ধড়কন' আর 'দোস্তানা' ছবিগুলো দেখলে অনেকটা সময় লেগে যাবে বুঝতে যে দুজনে একই মানুষ। শোনা যায় তিনি 'ধড়কন'-এর সময়ই প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছিলেন তিনি যদিও স্বীকার করেননি।
১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্স হওয়ার পরেই সুস্মিতা সেন ব্রেস্ট এনহ্যান্সমেন্ট করিয়ে সিলিকন ইমপ্লান্ট করান। সেই সময় এক কাগজে রিপোর্ট বেরোয় তিনিই নাকি প্রথম নায়িকা যিনি সার্জারি করিয়েছেন। কিন্ত্ত সুস্মিতা অস্বীকার করেন সে কথা। বলেন, আমি কখনও কোনও সার্জারি করাইনি। পুরোটাই ঈশ্বরপ্রদত্ত। এই সব রিপোর্ট হাস্যকর।
২০০৯ সালে কঙ্গনা রানাওয়াত ইতালিতে যান ছুটি কাটাতে। সেখান থেকে ফেরার পরেই শোনা যায় তিনি নাকি লিপ সার্জারি আর সিলিকন ইমপ্লান্ট করিয়েছেন। ২০১১ সালে 'রাসকল' ছবিতে তাকে বিকিনি পরা দেখে এই গুজবে আরও ডালপালা গজিয়ে যায়। এখানেও একই ফলাফল। কঙ্গনার মুখপাত্র জানান, এই খবর মিথ্যে৷ কঙ্গণার চিংড়ি-জাতীয় মাছে অ্যালার্জি আছে। এই দু'মাস তিনি ক্রমাগত শ্যুটিং করছেন। আপনাদের মনে হয় এই সব সার্জারির জন্য তার সময় আছে?