'জামিন পেয়েছে তার মানে এই নয় যে, মামলা শেষ। এতো সহজে হাল ছাড়বো না আমি। শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবো।' অনেকটা দৃঢ়তার সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন হালের আলোচিত 'আনহ্যাপি' ঘটনার নায়িকা হ্যাপি।
রুবেলের জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে হ্যাপি বলেন, 'বলতে পারেন ভক্তদের ভালোবাসা ও ভাগ্যের জোরে এ যাত্রায় পার পেয়ে গেল সে। হয়তো বিশ্বকাপেও খেলবে রুবেল। কিন্তু এখানেই তো আর শেষ নয়। ঘুরেফিরে এ কাঠগড়াতেই রুবেলকে আবার আসতে হবে। তাছাড়া এতো সহজে হাল ছেড়ে দেয়ার মতো মেয়ে আমি নই।'
হ্যাপি আরও বলেন, 'সবাই আমাকেই দোষারোপ করছেন। রুবেলের ভক্তদের কাছে একটাই প্রশ্ন, যেটা আগেও করেছি- এ বিষয়ে কথা বলার আগে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কেউ কি ভেবেছেন? কোনো মেয়ে কি এতো সহজেই নিজেকে সমাজের কাছে খাটো করার জন্য সঁপে দিতে চায়? যাই হোক, মনোবল এখনো দৃঢ়। আমার বিশ্বাস এ মামলায় প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। তখন না হয় সমালোচকদের কথার জবাব দেবো।'
এ বিষয়ে হ্যাপির আইনজীবী অ্যাডভোকেট তুহিন হাওলাদার বলেন, 'আসামি জামিন পাওয়ায় মামলার তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে আমার বাদী (হ্যাপি) কিছুটা শঙ্কিত। যদিও তিনি মানসিকভাবে অনেকটাই দৃঢ়। তবে উচ্চ আদালতে আমরা যাবো কিনা সেটা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দু'একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি।'
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে গেলে বিচারিক আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রুবেলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ধর্ষণের অভিযোগে ১৩ ডিসেম্বর রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন চিত্র নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি। মামলায় অভিযোগ করা হয়, জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার হ্যাপির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এরপর মামলা তুলে নিতে মুঠোফোনে হুমকি দেওয়া হয় বাদী নাজনীন আক্তার হ্যাপিকে। বলা হয়, দু-একদিনের মধ্যে মামলা তুলে না নিলে অপহরণ করে করে গুম করে ফেলা হবে। পরে নিরাপত্তার জন্য মিরপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন চিত্রনায়িকা নাজনিন আক্তার হ্যাপী। জিডি নম্বর ২২৮৭, তারিখ: ২৫-১২-২০১৪, মিরপুর মডেল থানা।