সুলতানা চরিত্রটি যোগ-বিয়োগ কেমন?
সুলতানা অত্যন্ত একটি ভালো মেয়ে হলেও তার স্বামী খুব লোভী। এক সময় স্বামীর আচরণের প্রতিবাদ করে সুলতানা এবং ভুল বুঝতে পেরে নিজেকে সংশোধন করে। আসলে একজন শিল্পীর দায়বদ্ধতা অনেক। সেই জায়গা থেকে সুলতানা তার দায়িত্ব পালন করেছে। এই নাটক, এর গল্প ও চরিত্র আমাকে আকর্ষণ করেছে। আর এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে আমি গর্বিত।
বিবিসির সঙ্গে কাজের অনুভূতি কেমন?
বিবিসির সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ সব সময় ছিল। এ নাটকটিতে কাজ করতে গিয়ে বিবিসির গোছাল কাজের ধরন খুব ভালো লেগেছে। এখানে শুধু কাজই নয়, শিল্পী থেকে শুরু করে প্রতিটি বিষয়ের প্রতি বিবিসির যে দায়িত্বশীলতা ছিল তা লক্ষণীয়।
নাটকের গল্প গড়িয়েছে কোন বিষয়টিকে ঘিরে?
এ নাটকের গল্প গড়ে উঠেছে উপকূলীয় অঞ্চলের জেলে পরিবারকে ঘিরে। তাদের জীবনের দ্বন্দ্ব-সংঘাত, আশা-ভালোবাসার মাধ্যমে সুনিপুণভাবে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যবিষয়ক বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। অত্যন্ত আকর্ষণীয় গল্পের নাটক 'উজান গাঙের নাইয়া'।
প্রায় সময়ই দেখা যায় বাংলার দুঃখী চরিত্রে অভিনয় করেন, এ ধরনের চরিত্রের প্রতি দুর্বলতা কেন?
আসলে এ দেশের গ্রামবাংলা এমনকি শহরেও দুঃখ ও যন্ত্রণাক্লিষ্ট নারীর সংখ্যা অগণিত। তাদের জীবনচিত্র পর্দায় তুলে ধরে তাদের এ অবস্থার অবসান করাই আমার লক্ষ্য। তাই গৌতম ঘোষের 'পদ্মা নদীর মাঝি' থেকে শুরু করে মুরাদ পারভেজের 'চন্দ্র গ্রহণ'সহ অনেক চলচ্চিত্র ও নাটকে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছি। ভবিষ্যতেই নারীদের দুঃখ-কষ্ট ঘেরা জীবন ফুটিয়ে তুলতে ও তাদের কল্যাণে কাজ করতে চাই।
এ মুহূর্তে আর কি কাজ করছেন?
বর্তমানে সত্যিকারের জীবনধর্মী গল্প নিয়ে চলচ্চিত্র বা নাটক নির্মাণ হয় না। তাই অনেকটা অভিমান করে কাজের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছি। বেছে বেছে অল্প কিছু নাটকে কাজ করছি। আশা করি, চলচ্চিত্র ও নাটকের সুদিন আবার ফিরে আসবে।
চলচ্চিত্র নির্মাণের কথা ছিল।
হ্যাঁ ভেবেছিলাম। কিন্তু চলচ্চিত্রের অবস্থা তো এখন খুব একটা সুবিধার নয়। নির্মাতা হিসেবে অভিষেকের জন্য সুসময়ের প্রয়োজন। আমি সেই অপেক্ষাতেই আছি। যখন অনুভব করব এখনই সময়, তখন ঝাঁপিয়ে পড়ব।
শোবিজ প্রতিবেদক