আপনার মা অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের মহাপ্রয়াণের পর বলেছিলেন পাবনায় মায়ের বাড়ি দেখতে আসবেন, এবার আসাটা তাহলে সে উপলক্ষে?
না, এবার আসলে একেবারেই রাষ্ট্রীয় কাজে আসা। শিডিউলে কোনো গ্যাপ নেই। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আবার ফিরে যেতে হবে। পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে ব্যস্ততা বেড়েছে। তাই ইচ্ছা থাকলেও সময় বের করতে পারছি না। তবে শিগগিরই বড় একটা সময় নিয়ে আবার আসব। তখন শুধু পাবনায় মায়ের বাড়ি নয়, পুরো দেশটা ঘুরে দেখব। আমি একা নই, সঙ্গে আমার দুই মেয়ে রিয়া ও রাইমা থাকবে। তাদেরও খুব ইচ্ছা প্রিয় দিদার বাড়ি দেখা।
বাংলাদেশ কেমন লাগে?
বাংলাদেশ কেমন লাগে- তা আমার মতো সাধারণ একজন মানুষের পক্ষে বলার যোগ্যতা আছে বলে মনে করি না। তবে সব সময়ই বলি অসাধারণ। এমন সবুজ-শ্যামল, সুজলা-সুফলা দেশ পৃথিবীতে আর একটিও নেই। তা ছাড়া আমিও বাঙালি, আমার মা ও তার পূর্ব পুরুষদের আবাসস্থল তো এ বাংলাতেই। এ কথা মনে পড়লেই গর্বে বুকটা ভরে ওঠে।
এ দেশের মানুষের সঙ্গে আমার আত্দীয়তার সম্পর্ক। এখানে এলে মনে হয় আত্দার কাছাকাছি চলে এসেছি। অনেক দিন পর বাড়ি এসেছি। আমি এখন বাড়ি আসার আনন্দে আত্দহারা। এ আনন্দ অতুলনীয়।
এখানকার ছবি দেখা হয়?
অফকোর্স, তবে আফসোস দেখার যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই। মানে ঢাকার ছবি দেখার সুযোগ গড়ে ওঠেনি। চলচ্চিত্র বা টিভি চ্যানেল বিনিময় এখনো বলতে গেলে স্থবির। ডিভিডিতেও সব ছবি পাওয়া যায় না। পেলেই দেখি। খুব ভালো লাগে। মনে হয় নিজের ছবি দেখছি। আর এ বাংলার নায়ক ফেরদৌস তো আমাদের ঘরেরই ছেলে। তার অভিনয় ভালো লাগে। সবচেয়ে বড় কথা- ঢাকার শক্তিমান অভিনেতা রাজ্জাক কলকাতার প্রচুর ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার অভিনয়ের তুলনা হয় না। মেলোড্রামায় তিনি একাই একশ'। তাকে নিয়ে কলকাতার মানুষও গর্ব করে। কারণ রাজ্জাক সাহেবের জন্ম কিন্তু কলকাতায়।
তাহলে টিভি চ্যানেল ও চলচ্চিত্র বিনিময়ের পক্ষে আপনি?
অবশ্যই, দুই বাংলার মানুষের আশা, ভাষা-সংস্কৃতির দিক দিয়ে প্রায় একই সূত্রে গাঁথা। একই আত্দার বাঁধনে বাঁধা। কাঁটাতার আমাদের মধ্যে বাধা হয়ে থাকবে কেন? সব বিষয়ে আমরা এক হতে চাই। বিশেষত আমি যেহেতু শিল্প-সংস্কৃতির মানুষ তাই এই দিকটার বন্ধন জোরালো করার তাগিদ আমার মনে বেশি কাজ করে।
এবারের সফর নিয়ে কি বলবেন?
আসলে এবারের সফর রাষ্ট্রীয়। এ সফর দুই দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। এ ধরনের জন ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সফরে আসতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।
* আলাউদ্দীন মাজিদ