গত দেড় বছর ফিল্মপাড়ায় যে নামটি সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়েছে তিনি হলেন পরীমণি। উঠতি নায়িকাদের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন লাস্যময়ী এ অভিনেত্রী। আগামীকাল মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার প্রথম ছবি ‘ভালোবাসা সীমাহীন’। এ ছবি ও সমসাময়িক অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন -শামছুল হক রাসেল।
কেমন আছেন?
খুব ভালো আছি ... আবার টেনশনেও আছি। গত তিন রাত ধরে ঘুমাতে পারছি না।
কারণ কি?
কারণ ওই একটাই, আগামীকাল মুক্তি পেতে যাচ্ছে আমার প্রথম ছবি 'ভালোবাসা সীমাহীন'। মূলত এ ছবিকে ঘিরেই ঘুরপাক খাচ্ছে আমার বর্তমান ব্যস্ততা।
প্রায় দেড় বছর আপনার ডানা মেলার কথা শোনা যাচ্ছে, অর্থাত্ এই আসছেন আসছেন করেও আসা হচ্ছিল না ...
আসলে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতার কারণেই আমার ডানা মেলায় দেরি হয়ে গেছে। তবে শেষ ভালো যার সব ভালো তার। আগামীকাল সে প্রত্যাশা আশা করি পূরণ হবে। দেরিতে হলেও এ ছবিকে ঘিরে আমার অনেক স্বপ্ন। এটি আমার প্রথম ছবি, তারপরও দর্শকদের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। কারণ ইতোমধ্যে প্রায় দুই ডজন ছবির সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছি। ভালোবাসা সীমাহীন দেখার পর দর্শকরা বিচার করবেন পরী কতটুকু ডানা মেলল।
এ ছবি করতে গিয়ে সহশিল্পীদের কাছ থেকে কেমন সহযোগিতা পেয়েছেন?
সহশিল্পীরা সবাই আমাকে বুঝতে চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে আমার খাবার দাবার ও শর্ট দেওয়ার সময় যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছি তাদের। মনে হয়েছে একটি পরিবারের সঙ্গেই ছিলাম।
কেউ কেউ বলছেন অভিনয় নয় বাহ্যিক অবয়বে আপনি ক্যারিয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেছেন ...
হা ... হা ... হা ... না হেসে পারলাম না। দেখুন এখন পর্যন্ত আমার কোনো ছবি মুক্তিই পেল না, তাহলে আমার অভিনয় নিয়ে প্রশ্ন উঠে কিভাবে। যারা অভিনয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাদের হলে গিয়ে ছবিটি দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। তাছাড়া প্রযোজকরা আমার চেহারা দেখে কোটি কোটি টাকার ছবিতে চুক্তিবদ্ধ করাতেন না। বাপ্পী, সায়মন, জায়েদ খান থেকে শুরু করে শাকিব খানের সঙ্গেও অভিনয় করেছি। সবেতো শুরু হলো বাকিটা না হয় বড় পর্দায় দেখা যাবে। এজন্য দর্শকদের দোয়া চাচ্ছি।
এক বছরে বেশ কয়েকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। এবিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?
দেখুন, অতীত ভুলে সামনে এগুতে চাই ... নতুন করে আর এসব ঝামেলায় নিজেকে দেখতে চাই না। এখন শুধু একটা জিনিসই পেতে চাই দর্শকদের ভালোবাসা। প্রথম ছবিতে আমার অভিনয়ে কিছু ভুলত্রুটি থাকতেও পারে। আমি বলছি না ভুলত্রুটি আছে তারপরও যদি দর্শকদের কাছে কোনো ভুলত্রুটি ধরা পড়ে সেটাই আমার ভবিষ্যতের পথচলাকে মসৃণ করবে।
ভালোবাসা সীমাহীন ছবিতে কাজ করার পেছনে কার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি ...
বলব পরিচালক, শাহ আলম মণ্ডলের কথা। তাকে অনেক জ্বালাতন করেছি। তার চেষ্টাতেই এ ছবিতে আমি চুক্তিবদ্ধ হই। অথচ আমার কোনো ইচ্ছাই ছিল না। বলতে পারেন অনেকটা জোর করেই তিনি আমাকে সাইনিং মানি দিয়ে যান।
বর্তমানের পরী ও দুই বছর আগের পরীর মধ্যে কি পার্থক্য রয়েছে?
সিনেমায় যখন অভিনয় শুরু করি তখন নিজের জন্য ও পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য বেশ সময় দিতে পারতাম। আর এখন পরিবার তো দূরের কথা নিজের জন্য সময় বের করতে পারি না। কেমন যেন ব্যস্ততার রাজ্যে হারিয়ে গেছি। তবে এটাও ভাল্লাগে যে, বর্তমানের পরীকে এখন অনেকেই চেনে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভক্তসংখ্যা। এ বিষয়টা চিন্তা করলে তখন নিজেকে আর একা লাগে না। মনে হয় এরাও তো আমার পরিবারের সদস্য।