‘প্রত্যেক মানুষেরই কিছু নীতিগত মন্ত্র থাকে। আমিও এর বাইরে নই। যখনই নৈতিকতার বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেয়েছি তখনই তা এড়িয়ে গেছি। অথচ তাদের সঙ্গে আপস করিনি বলেই আজ বিপিএলের ফাইনালে আমাকে দেখা যাবে না।’ অনেকটা আক্ষেপ ও ক্ষোভের সুরে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এমনটাই বললেন হালের আলোচিত উপস্থাপিকা ও অভিনেত্রী আমব্রিন।
গত এক মাস জুড়ে বিপিএলের উপস্থাপনা করে আসছিলেন এ তারকা। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের সেই ছোট গল্পের শেষ হইয়া ও হইল না শেষ’র মতো অবস্থা হল। আজ ফাইনালে দেখা যাবে না তাকে।
মিডিয়া পাড়ায় গুঞ্জন উঠেছে উচ্ছৃংখলতার অভিযোগে শেষ মুহূর্তে আমব্রিনকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে নিত্যনতুন গুঞ্জনও বেগবান হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমব্রিন বলেন, ‘উচ্ছৃংখল’ শব্দটি আমার কাছে এখন হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে। আমি যদি উচ্ছৃংখল হতামই তাহলে এই এক মাস কেন অভিযোগ উঠল না? অভিযোগ উঠল একেবারে শেষ মুহূর্তে। অথচ কেউ এর পেছনের গল্প জানে না।'
পেছনের গল্প সেটা আবার কি— এমন প্রশ্নের উত্তরে আমব্রিন বলেন, ‘যোগ্যতা দিয়ে সব কাজ করতে চাই। অনৈতিক কর্মকাণ্ডে গা ভাসিয়ে পথ চলতে চাই না। খারাপ প্রস্তাব পেয়েছি বলেই ইউটার্ন নিয়েছি। আমাকে বাদ দেওয়া হয়নি। তাছাড়া আমার সঙ্গে এমন কোনো কন্ট্রাক্ট হয়নি যে আমি কারও সঙ্গে শপিংয়ে যেতে পারব না, কারও সঙ্গে বেড়াতে যেতে পারব না। অথচ নানা রকম অভিযোগ এনে আমাকে সবার কাছে হেয় করা হচ্ছে। এমনকি গতকাল রাতেও কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয় আমি যেন ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলো ডিলিট করে ফেলি। আজ নাকি ফাইনালে ফের উপস্থাপনার দায়িত্ব দেয়া হবে আমাকে। সকালে গাড়ী পাঠানোর কথাও বলা হয়। অথচ কিছুক্ষণ আগে জানানো হয় ফাইনালে উপস্থাপনা করব না আমি। এভাবে একের পর এক প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই। নৈতিকতা নিয়ে কোনো আপোস করতে রাজি নই। রাজি নই কোনো কুপ্রস্তাবে। হোক সেটা পর্দার সামনে কিংবা পেছনে।'
বিপিএল শুরুর আগে একাধিক অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন আমব্রিন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সিনেমা এক্সপ্রেস, উদ্দীপন, মিউজিক স্টেশন ইত্যাদি। ২০০৭ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার প্রতিযোগীতার মাধ্যমে মিডিয়া পাড়ায় অভিষেক ঘটে তার। তবে মডেলের পাশাপাশি উপস্থাপিকা হিসেবেই পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া বেশ কয়েকটি নাটকেও অভিনয় করেছেন আমব্রিন।