কিংবদন্তি নায়িকা সুচিত্রা সেনের দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবস আজ রবিবার। মৃত্যুর দুই বছর পার হলেও পাবনায় মহানায়িকার স্মৃতিবিজড়িত জন্মভিটাটি আজও অবহেলিত। বাড়িটি সংরক্ষণ বা তার স্মৃতি ধরে রাখতে নেওয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। বাড়িটি সবসময়ই থাকছে তালাবদ্ধ।
নানা আয়োজনে পাবনায় আজ পালিত হচ্ছে দিবসটি। এদিন বেলা ১২ টায় পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্মরণসভার আয়োজন করে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, পাবনার গর্ব এ মহানায়িকার জন্মভিটা জামায়াতের দখলমুক্ত হবার দুই বছর অতিবাহিত হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সে বাড়িতে সুচিত্রার স্মৃতি ধরে রাখার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সুচিত্রার স্মৃতি ধরে রাখতে বক্তারা অবিলম্বে সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়িতে একটি স্মৃতি সংগ্রহশালা গড়ে তোলার দাবি জানান।
পাবনা ড্রামা সার্কেলের সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান রাসেল বলেন, আমরা দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করে জামায়াতের নিয়ন্ত্রণ থেকে সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়িটি দখলমুক্ত করলেও আজ অবধি বাড়িটি নিয়ে কোন কিছুই করা হয়নি। আমাদের দাবি ছিল সেখানে একটি সুচিত্রা সংগ্রহশালাসহ ফিল্ম ইনিষ্টিটিউট করা। অথচ আজ অবধি সেখানে কোন কার্যক্রম নেই। বিভিন্ন স্থান থেকে আগত দর্শনার্থীরা তালাবদ্ধ পেয়ে ফিরে যান। বিষয়টি দ্রুত সুরহার দাবি করেন তিনি।
এছাড়া দিনটি উপলক্ষে পাবনা ড্রামা সার্কেল, সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংসদ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
পাবনা জেলা পরিষদের প্রশাসক এবং সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি এম সাইদুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ শিবজিত নাগ, সংস্কৃতিকর্মী আব্দুল মতীন খান, আব্দুল আলীম, হাবিবুল্লাহসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়িকা ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে পরলোক গমন করেন। অসংখ্য জনপ্রিয় ছবি উপহার দেওয়া কালজয়ী এ নায়িকা ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনায় নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পরে পাবনা পৌর এলাকার গোপালপুরের বাড়িতে তার শৈশব ও কৈশোরকাল কাটে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় পাবনা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় সুচিত্রা সেন সপরিবারে ভারতে চলে যান।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ জানুয়ারি, ২০১৬/এস আহমেদ