অসহিষ্ণুতা বিতর্কে আবারও সরব হলেন বলিউড তারকা আমির খান। এবার তাঁর বক্তব্য, ‘‘ভারত সহিষ্ণু দেশ। কিন্তু এখানে কিছু অসহিষ্ণু মানুষ এদেশে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন।’’ আর সেই ‘অসহিষ্ণু’ মানুষগুলোকে ‘নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্ব’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই নিতে হবে বলে তিনি মনে করেন।
সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠানে আমির এসব কথা বলেন। খবর এবেলার।
খবরে বলা হয় ওই চ্যানেলের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যটন প্রচারের বিজ্ঞাপন ‘ইনক্রেডিব্ল ইন্ডিয়া’ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হলেও নিজেকে এখনও দেশের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ বলেই মনে করেন আমির।
ওই অনুষ্ঠানে পিকে’র নায়ক বলেছেন, ‘‘জন্মভূমি আমার মা। তা ব্র্যান্ড হয় কীভাবে? আমার মা কি কোন ব্র্যান্ড? কারও কারও কাছে দেশ ব্র্যান্ড হতে পারে, আমার কাছে নয়। সরকার বাদ দিতে পারে। কিন্তু আমি আজও ভারতের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।’’
গত ২৩ নভেম্বর একটি অনুষ্ঠানে দেশে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে বলে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন আমির। স্ত্রী কিরণ রাও’কে উদ্ধৃত করে বলেছিলেন, ‘‘ও জানতে চায়, আমাদের কি দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে। অসহিষ্ণু পরিবেশে সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে ও উদ্বিগ্ন।’’ এবার তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘‘আমার কথার ভুল অর্থ হয়েছিল। ভারত অসহিষ্ণু, এমন কথা আমি বলিনি। বলেছিলাম, ভারতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে।’’
এই ‘ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা’র জন্য দেশের কিছু মানুষকে দায়ী করে আমির বলেছেন, ‘‘কিছু মানুষ বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন। দেশকে ভাগ করার কথা বলছেন। সব সম্প্রদায়েই এ ধরনের লোক আছেন। একমাত্র মোদিই তাঁদের আটকাতে পারেন। উনি প্রধানমন্ত্রী, ওঁকে তো এসব বলতেই হবে।’’ পাশাপাশি, সংবাদ মাধ্যমকে হিংসার খবর সম্প্রচারে রাশ টানার অনুরোধ করেছেন আমির। বলেন, ‘‘প্রত্যেক ভারতীয়ের মধ্যেই আতঙ্কের সংক্রমণ ঘটেছে। হিংসার খবর দেখলে বা পড়লে নিরাপত্তাহীনতা বেড়ে যায়।’’
বিডি-প্রতিদিন/০৬ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব