‘বিগ বস’ শুরু হওয়ার পরে কেটে গিয়েছে দশটি বছর। আরশাদ ওয়ারসি, শিল্পা শেঠি, অমিতাভ বচ্চনের পরে, চতুর্থ এপিসোডে শো-এর হোস্ট হন সলমন খান। পরের এপিসোডে সঞ্জয় দত্ত এলেও, সালমানের জনপ্রিয়তার কারণে তাকে আবারও ফিরিয়ে আনা হয় পরবর্তী সিজনগুলোয়। এবং জনপ্রিয়তার উচ্চ শিখরে পৌঁছে যায় এই রিয়্যালিটি শো। কিন্তু এই সাফল্যের নেপথ্যে যে লোকটি রয়েছেন, তিনিই নাকি বিগ বস-এর বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি নিজের মুখে এই কথা বলেছেন সালমান। আর তাতেই শুরু হয়েছে জল্পনা।
প্রায় ১০টা বছর অতিক্রম করেও বিতর্ক যেন পিছু ছাড়েনি ‘বিগ বস’ কে। অশ্লীল ভাষা ব্যবহার এবং অসভ্য আচরণের জন্য কিছুদিন আগেই নমিনেশন ছাড়াই ‘বিগ বস’ এর ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয় প্রিয়াঙ্কা জাগ্গাকে। এবং তার উপর একপ্রকার ক্ষুদ্ধ হয়েই সালমান খান নিজের মুখে কালার্সের সঙ্গে সমস্ত চুক্তিভঙ্গের কথা জানান।
ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটা বলা যাক। ‘বিগ বস’ এর ঘর মানেই ঠান্ডা যুদ্ধ। কখনও কখনও সেই যুদ্ধই চরমে পৌঁছয়। বিগ বস এর অন্দরমহলে সেলিব্রিটিদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি সবকিছুই দেখে নিয়েছে আমজনতা। কিন্তু ‘সিজন ১০’ এ কিছু প্রতিযোগী সেই সীমা যেন ছাড়িয়ে গিয়েছেন। দশম সিজনের প্রথম সপ্তাহ থেকেই নানারকম উত্তেজনামূলক কথা বলে ‘বিগ বস’ এর অন্দরমহলে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা জাগ্গা। একাধিকবার সতর্ক করার পরেও কোনও রকম গুরুত্ব দেননি তিনি।
কয়েক সপ্তাহ এমনটা চলার পর হোস্ট সালমান তার কাছে গোটা ঘটনার ব্যাখ্যা চান। সালমান জানান, অন্য প্রতিযোগীদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা থেকে শুরু করে প্রিয়াঙ্কার অসভ্য ব্যবহার কখনওই কাম্য নয়। সালমানের প্রশ্নের কোনরকম সদুত্তর না দিয়ে হোস্ট তার সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন প্রিয়ঙ্কা। তার ব্যবহারে চূড়ান্ত অপমানিত হন সালমান।
এর পরেই কোনওরকম নমিনেশন ছাড়াই প্রিয়াঙ্কা জাগ্গাকে ‘বিগ বস’ এর ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন সালমান খান। এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও জানান, শুধুমাত্র বিগ বস কেন, ভবিষ্যতে কালার্সের কোনও শোতে কোনওদিন যদি প্রিয়ঙ্কা আসেন, তবে তিনি কালার্সের সঙ্গে আর কাজ করবেন না।
বিডি প্রতিদিন/ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬/ তাফসীর-১০