ভাল ‘কনটেন্ট’এর জোরেই বাংলা ছবি চিরদিন তার নিজস্বতা বজায় রাখবে। দর্শকরাও হলে গিয়ে তা উপভোগ করবেন। এমন অভিমত অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। বাংলা ছবির ভবিষ্যত নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, গত দশ বছরে বাংলা সিনেমা একটা অসম্ভব ভাল জায়গা করে নিয়েছে। এখন নতুন প্রজন্মের পরিচালকরা এসে প্রচুর ভাল ছবি তৈরি করছেন, নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও ভাল ছবি দর্শকদের উপহার দিচ্ছেন। আমরা প্রতি বছর চেষ্টা করি নতুন ভাবে বাংলা সিনেমাকে উপস্থাপন করতে। গত বছর যেভাবে শেষ হয়েছে বা চলতি বছরেও যেভাবে শুরু হয়েছে-তাতে আমার আশা চলতি বছরে বাংলা ছবির বাজার খুব ভাল ভাবে চলবে। দর্শকরাও ভালভাবে দেখবেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার মধ্যমগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বাংলা ছবির এই অভিনেতা জানান, বাংলা ছবি চিরদিনই কনটেন্ট ভিত্তিক হতো এবং এখনও হয়। আমাদের গল্প, উপন্যাসই ছবি তৈরির প্রধান শক্তির উৎস। ফলে তারকা খচিত অভিনেতাদের ছবি যেমন চলছে তেমনি কনটেন্ট সমৃদ্ধ ছবিগুলিও দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। সেই কারণেই হিন্দিতে যেমন ‘বাধাই হো’ ছবি হয়েছে, তেমনি বাংলাতেও নতুন মুখদের নিয়ে ‘রসগোল্লা’র মতো ছবি করার সাহস পাচ্ছেন প্রয়োজক-পরিচালকরা। এটা খুবই ভাল দিক। আর বাঙালিরা আবার বাংলা ছবি দেখতে হলে ঢুকছেন-এটাই আমাদের প্রেরণা।
তবে টেলিভিশনের পর্দা জুড়ে বাংলা সিরিয়ালের রমরমার মধ্যেও বাংলা ছবি বেঁচে থাকবে কি না সে প্রশ্নের উত্তরে প্রসেনজিৎ জানান, নতুন প্রযুক্তি আসবেই। তাকে আটকানো যাবে না। সেই সাথেও চ্যালেঞ্জও থাকবে। টেলিভিশন থেকে ভিসিআর-হোম থিয়েটার হয়ে এখন কেবল অপারেটরের মাধ্যমে সকলের ঘরে ঘরে বিনোদন দুনিয়া পৌঁছে গেছে। কিন্তু তার পরেও বলবো 'অ্যামাজন', 'কাকাবাবু'র মতো ভাল ছবি দর্শকরা হলে গিয়েই দেখবেন।
মুক্তির অপেক্ষা থাকা ছবি ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’এর সফলতা নিয়ে আশাবাদী প্রসেনজিৎ। তিনি জানান, গত ১০ বছরে একঘেঁয়ে চরিত্রে আমি খুব কম অভিনয় করছি। আমি যদি বছরে দুইটি ছবি করি, সেটা অন্য ধরনের ছবি হয়। আগামী দুর্গাপূজার সময় 'কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন' ছবিটা আসছে। এটা বাচ্চাদের জন্য সুখবর। আমি চাইবো ছবিটা সুপারহিট হোক। এতে প্রচুর শিল্পীরা আছেন।
টলিউড শিল্পজগতে প্রযোজক ও পরিচালকদের মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রসেনজিৎ যতদিন বেঁচে থাকবে, বাংলা সিনেমায় কোন প্রযোজক বা পরিচালকের মধ্যে লড়াই হবে না এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা