আইএস'র 'জিহাদি জন' খ্যাত ব্রিটিশ নাগরিক মোহাম্মদ এমওয়াজি সিরিয়ায় গোপনে এক ছেলে সন্তানের বাবা হয়েছেন। ফলে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, ওই ছেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রিটিশ নাগরিক। তাই ভবিষ্যতে কখনো সে ব্রিটেনে ফিরে বসবাস করতে চাইলে এজন্য ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কিছু করার নেই। এমনকি এখনই তাকে ব্রিটেনে ফেরত আনা হতে পারে বলে খবরে বলা হয়েছে। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ তাদের এক প্রতিবেদনে একথা জানায়। খবর পিটিআই'র
গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাক্কায় যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় মারা যান মোহাম্মত এমোয়াজি। সিরিয়ায় আইএস'র ঘাঁটি বলে পরিচিত রাক্কা শহরে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এ হামলা চালায়। মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা একথা জানায়।
জিহাদি জনের সিরিয়ায় জন্ম নেয়া ওই ছেলের মায়ের পরিচয় ও জাতীয়তা জানা যায়নি। ব্রিটিশ নাগরিকত্বের অাইন অনুযায়ী, বিদেশে কোনো ব্রিটিশ নাগরিকের ঘরে জন্ম নেয়া প্রথম প্রজন্ম স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেশটির নাগরিক হিসেবে গণ্য হবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনও ড্রোন হামলার কথা নিশ্চিত করেছে। তবে এতে জিহাদি জনের মৃত্যু হয়েছে কিনা তা বিস্তারিত
যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক স্টিভেন সতলফসহ বিভিন্ন বিদেশি সাংবাদিক ও এনজিও কর্মীদের হত্যার দৃশ্যসংবলিত আইএস গত বছর বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ করে। এসব ভিডিওতে 'জিহাদি জন' পরিচিতি পাওয়া ব্রিটিশ ওই নাগরিককে দেখা গেছে। এর মাধ্যমেই কুখ্যাতি অর্জন ও লাইমলাইটে চলে আসে সে।
জিহাদি জন খ্যাত এমোয়াজির জন্ম কুয়েতে হলেও শৈশবেই বাবা মায়ের সঙ্গে সে ব্রিটেনে চলে আসে। সাবেক আইটি শিক্ষার্থী এমোয়াজি ২০১৩ সালের কোনো এক সময় আইএস'এ যোগ দিতে সিরিয়ায় যায় বলে মনে করা হয়। 'দ্য বিটলস' নামে ব্রিটিশ একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য ছিল সে। এর সদস্য থাকাকালেই সহযোদ্ধাদের কাছ থেকেই সে জিহাদি জন উপাধি পায়।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ নভেম্বর ২০১৫/শরীফ