আমেরিকার ঘরে ঘরে এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের 'নোংরা নারী'। তৃতীয় প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে হিলারি ক্লিনটনকে 'ন্যাস্টি ওম্যান' বা 'নোংরা নারী' বলে কটুক্তি করেছিলেন ট্রাম্প। সেই শুরু। এই বাক্যাংশটি খুব দ্রুত নারীবাদিদের একত্র করে ফেলে। ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারা। ট্রাম্প বিরোধীতায় নামেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন হিলারির সমর্থকরা। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ন্যাস্টি ওম্যান।
এরপরই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়, যার নাম দেওয়া হয় ন্যাস্টি ওমেন গেটস হিট ডান ডট কম। এটাকে হিলারির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে রিডিরেক্ট করে দেওয়া হয়। আমেরিকার নামকরা এটসি স্টোর খুব দ্রুত 'ন্যাস্টি ওম্যান' মার্চেন্ডাইজার তৈরি করে ফেলে। নারীরা গর্বের সঙ্গে টুইট করতে থাকে যে তারাও নোংরা নারী।
ওই বিতর্ক শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গুগল স্টোর 'গুগল ঘোস্ট' একটি সাধারণ টি-শার্ট বানায়। সাদা রংয়ের টি-শার্টের মাঝে গোলাপী হৃদয়ে লেখা 'ন্যাস্টি ওম্যান'। এই টি-শার্ট বিক্রির ৫০ শতাংশ প্ল্যান্ড প্যারেন্টহুড-কে দিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। দুই মাস পরই গুগল ঘোস্ট ১ লাখ ডলার তুললো প্ল্যান্ড প্যারেন্টহুড এর জন্য। এই শার্টটি বানান আমান্দা। জানান, আমি ভেবেছিলাম ৫-১০টি বিক্রি হবে। কিন্তু এই সংখ্যা যখন ৫০০ থেকে হাজার ছাড়িয়ে গেলো, তখন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে নারীরা তাদের মতামত ব্যক্ত করছেন তা স্পষ্ট হলো।
চ্যারিটির জন্যে এই বিশাল সাফল্যে গুগল ঘোস্ট তার ইন্সটাগ্রাম পেজে লিখেছে, আমরা এখনো এই টি-শার্টের অর্ডার নিচ্ছি এবং ডোনেশন তুলতে প্রস্তুত। এই পাগলামীর সঙ্গে যারা জড়িয়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
উইল ফ্যারেল, কেটি পেরি এবং জুলিয়া লুইস- ড্রেইফাসের মতো সেলিব্রিটিরাও এই টি-শার্ট কিনেছেন। অনেক বিখ্যাত এবং অখ্যাত 'নোংরা নারী' তাদের ইন্সটাগ্রামে ছবিও দিয়েছেন। সূত্র: হাফিংটন পোস্ট
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ