গত সপ্তাহেই সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন যে নোট বাতিল ইস্যুতে তাকে সংসদে বলতে দেওয়া হচ্ছে না। যদি তাকে বলতে দেওয়া হয় তবে ভূমিকম্প হবে। রাহুল আরও দাবি করেছিলেন যে তার কাছে মোদির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত দুর্নীতির অনেক তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। এরপরই গতকাল গুজরাটের একটি সভা থেকে মোদির বিরুদ্ধে সাহারা কোম্পানি থেকে রুপি নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন রাহুল। চব্বিশ ঘণ্টা ঘুরতে না ঘুরতেই এবার নাম না করে রাহুলকে কটাক্ষ করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বৃহস্পতিবার নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এই ইস্যুতে কংগ্রেস সহ-সভাপতিকে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, ‘ওদের একজন নতুন যুবনেতা রয়েছেন। এতদিন কথাই বলতেন না কিন্তু ইদানিং তিনি কথা বলতে শুরু করেছেন। হাত-পা ছুঁড়ে গরম গরম ভাষণ দিচ্ছেন। তাকে ভাষণ দিতে দেখে আমার খুব ভাল লাগছে’।
রাহুল গান্ধীকে প্যাকেটের সঙ্গে তুলনা করে মোদি বলেন, ‘২০০৯ সালেও আমি বুঝিনি যে এই প্যাকেটের ভেতর কি আছে? এখন আমরা বুঝতে পারছি যে প্যাকেটের ভেতর কি আছে, আর কি নেই। যদি তিনি কথা না বলতেন তবে ভূমিকম্প হতে পারতো। আর ভূমিকম্প হলে দেশের মানুষকে দশ বছর ধরে তার মোকাবিলা করতে হতো। যাই হোক সুখবর হলো এই যে, উনি (রাহুল) কথা বলতে শুরু করেছেন...তাই এখন আর ভূমিকম্পের আশঙ্কা নেই’।
যারা কেন্দ্রীয় সরকারের নোট বাতিলের বিরোধিতা করছে তাদের পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠান থেকে বিরোধীদের এক হাত নিয়ে মোদি বলেন, ‘ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশের সময় পাকিস্তান যেভাবে কভার ফায়ারিং করে ঠিক তেমনি ভারতের সংসদেও বিরোধীরা হট্টগোল বাধাচ্ছে’।
মোদি জানান, নোট বাতিলের মধ্যে দিয়ে দেশজুড়ে বড় সাফাই অভিযান চলছে। দুর্গন্ধেই বোঝা যাচ্ছে কত ময়লা জমেছিল। কিন্তু কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এর বিরোধিতা করে চলেছে। আমি কখনও ভাবিনি যে কিছু রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিবিদরা এভাবে দুর্নীতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবেন’।
মোদি তোপ দাগতে ছাড়েননি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-কেও। মোদি জানান, ‘কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং একসময় বলেছিলেন যে দেশে ৫০ শতাংশ গরীব মানুষ রয়েছেন, সেখানে কি করা যেতে পারে...’ আমার প্রশ্ন উনি কি নিজের রিপোর্ট কার্ড দিচ্ছেন, নাকি আমার রিপোর্ট কার্ড দিচ্ছেন? দেশে ৫০ শতাংশ গরীবের দায় কার?’
বিডি-প্রতিদিন/ ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ