ইয়েমেনে গত তিন মাসে ১১ হাজারের বেশি হুথি বিদ্রোহী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের মুখপাত্র আনাদোলু এজেন্সি। জোটের মুখপাত্র তুর্কি আল-মালিকি জানান, সৌদি আরবের রাজধানীকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কোনও ক্ষতি করতে পারেনি। এখন পর্যন্ত সৌদি আরবকে লক্ষ্য করে ৮৩টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে মুখপাত্র বলেন, ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা প্রমাণ করে ইরান ও হুথি মিলিশিয়ারা উত্তেজনা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে আরও প্রমাণ হয়, ত্রাণ সরবরাহের কথা বলে অস্ত্র পাচার অব্যাহত রয়েছে। আল-মালিকি জানান, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই অঞ্চলে ইরানের হস্তক্ষেপের বিষয়টি বুঝতে পারছে।
এসময় তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালের মার্চে জোট সেনারা অভিযান শুরুর করার আগে হুথিরা ইয়েমেনের ৯০ শতাংশ ভূখণ্ড দখলে নিয়েছিল। কিন্তু এখন বৈধ সেনারা ৮৫ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে।
এদিকে বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থার মতে, দেশটিতে প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ দুর্ভিক্ষের মধ্যে রয়েছে। কলেরা ও ডিপথেরিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। দ্য নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল (এনআরসি) বলছে, হুদাইদাহ ও সালিফ বন্দরে প্রথম দফায় খাদ্য ও জ্বালানি পৌঁছালেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। কারণ ২ কোটি ৭০ লক্ষ জনসংখ্যার দেশ ইয়েমেন খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের ওপর প্রায় সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। হুথি ও সালেহ জোট রাজধানী সানা দখল করলে দেশটির প্রেসিডেন্ট হাদি সৌদি আরবে নির্বাসনে যান। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট হাদির সমর্থনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
বিডি প্রতিদিন/২৮ ডিসেম্বর ২০১৭/ওয়াসিফ