আন্তর্জাতিক মহলকে উত্তপ্ত করে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো তাদের সামরিক শক্তিকে আরও শক্তিশালী করতে ব্যস্ত। আর তারই জের ধরে এবার উচ্চ প্রযুক্তি লঞ্চ সিস্টেম সহ তৃতীয় এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার তৈরি করছে চীন। ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরে স্থিত আধুনিক অস্ত্র ধ্বংস করার জন্য এই সিস্টেম আনছে চীন৷
২০১১ সালে শেষ হয় চীনের প্রথম এয়ারক্র্যাফ্ট তৈরির কাজ। এর পর সাংহাই শিপইয়ার্ডে প্রায় দু'বছর ধরে চীনের দ্বিতীয় এয়ারক্র্যাফ্ট নির্মিত হয়। এবছর সেটি লঞ্চ করার কথা। কিন্তু তার আগেই তৃতীয় এয়ারক্র্যাফ্টের কথা ঘোষণা করে দিল চীন। সরকারি সূত্রে খবর, নতুন এই এয়ারক্র্যাফ্ট তৈরির কাজ আরও জটিল ও চ্যালেঞ্জিং। বাকি দু'টি এয়ারক্র্যাফ্ট থেকে এটি অনেকটাই আলাদা হবে এটি।
এদিকে, এই ধরনের এয়ারক্র্যাফ্ট পরিচালনার জন্য পাইলটদেরও ট্রেনিং দিচ্ছে চীন। জানা গেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪টি এয়ারক্র্যাফ্ট বানানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছে। তবে তৃতীয় এয়ারক্র্যাফ্ট কবে লঞ্চ করবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু বলতে পারছে না তারা।
এ ব্যাপারে চীনের একটি সংবাদমাধ্যমে আরও প্রকাশ হয়েছে, অ্যান্টি মিসাইল, অ্যান্টি শিপ, মর্ডার্ন ডিফেন্স ও অ্যান্টি সাবমেরিন অস্ত্র আটকাতে নতুন অস্ত্র আনছে চীন। সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, চীনের এই অস্ত্র তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে যাবে। খুব শিগগিরই হয়তো দক্ষিণ চীন ও ভারত মহাসাগরে এর ব্যবহার চোখে পড়বে।
এছাড়া চীনের সরকারি সূত্রে জানা গেছে, হেলকপ্টারের পরিকল্পনা আর করতে চাইছে না চীনা সেনারা। এখন তারা আরও উন্নত প্রযুক্তির দিকে নজর দিয়েছে। সেই কারণেই চীনে নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের কাজ চলছে। জাহাজে সেনা ও কর্মীদের থাকার পরিবেশ যাতে আরও ভালো হয়, সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/০৭ জানুয়ারি, ২০১৮/ওয়াসিফ