বড়দিনে ইরাকে গিয়ে মার্কিন সেনার বিশেষ বাহিনীর ১০০ জন ও সেনাকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে চমক দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই হঠাৎ সফর ইরাকের মানুষ মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না।
একটা দেশে গিয়ে সেই দেশে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাত নেই। এটা কি আদৌ কূটনৈতিক সৌজন্য- এই প্রশ্নের মুখে পড়েছেন এখন ট্রাম্প। এক বিবৃতিতে ইরাকি প্রশাসনের দাবি, প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দেল মেহদির সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক কী ভাবে আয়োজন করা যায়, তাই নিয়ে মতানৈক্যের জেরে বৈঠকের বন্দোবস্ত শেষ পর্যন্ত করা যায়নি। তাই দুই নেতার কথা হয়েছে ফোনে।
কিন্তু ইরাকের সংবাদমাধ্যমে গুজব, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নাকি প্রধানমন্ত্রী মেহদিকে আল-আসাদ সেনাঘাঁটিতে (যেখানে ট্রাম্প নেমেছিলেন) ডেকে পাঠিয়েছিলেন। মেহদি সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি।
ইরাক বিশেষজ্ঞ ফানার হাদ্দাদ বলছেন, ‘‘সেনাঘাঁটিতে এভাবে প্রধানমন্ত্রীকে ডেকে পাঠানো ইরাকের প্রতি ট্রাম্পের ঘৃণাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এমনটা মনে করছেন ইরাকের সাধারণ মানুষ।’’
ইরাকের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি বলেছেন, ‘‘যেভাবে ট্রাম্প ইরাক ঘুরে গেলেন, তা কূটনৈতিক নিয়ম বিরোধী এবং কোনও সার্বভৌম রাষ্ট্রের সঙ্গে এমনটা করা যায় না। এর ফলে ইরাক-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’’
যদিও এক বিশেষজ্ঞের মতে, সিরিয়া থেকে সদ্য মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করার পরে ইরাকেও এক ধরনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সেই চিন্তা দূরে রাখতেই ট্রাম্পের এই সফর। কাল অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের জানান, এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি, বিভিন্ন দেশের সেনা-জোট থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়া।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত