বিয়ের কার্ড দিয়ে অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানোর প্রথা বেশ পুরানো। বর্তমানে ভার্চুয়ালি বিয়ের কার্ড পাঠালেও, ঘনিষ্ঠ বন্ধু আর আত্মীয়দের নিজেরা গিয়েই সেই কার্ড দিয়ে আসেন। আর সেই বিয়ের কার্ডে আবার অনেকে উল্লেখ করে দেয় যে উপহার নিয়ে আসার কোনও প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে অতিথির আগমনটাই থাকে মুখ্য।
কিন্তু বিয়ের কার্ডের মাধ্যমে ভোটের প্রচার, হয়ত কেউই এরকম উপহারের দাবি করেননি কোনোদিন। তবে ভারতের গুজরাটের দু’টি বিয়ের কার্ড নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে সমগ্র দেশ ভারতজুড়ে। কারণ সেখানে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে উপহারের কথা। আর সেই উপহারটিও বেশ চমকপ্রদ এবং খরচহীন। কারণ সেই বিয়ের কার্ডে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে আমন্ত্রিতদের কাছে।
অভিনব এই বিয়ের কার্ড এবং অবশ্যই ভোটের প্রচার ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক মহলে। এই বিয়ে দু’টির একটি হবে চলতি মাসের ১১ তারিখে। অপরটি হবে পরের মাসের ১০ তারিখে।
যদিও এই ধরনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও দক্ষিণ ভারতের এক শহরে এই ধরনের কার্ড দেখা গিয়েছিল। সেখানে বিয়ের কার্ডে বিজেপিকে ভোট দিয়ে জেতানোর আবেদন করা হয়েছিল। এছাড়াও অন্য একটি ঘটনাও ঘটেছে বিয়ের কার্ড নিয়ে। সেখানেও অবশ্য জড়িত রয়েছেন প্রধানমন্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিয়ের কার্ডে মোদির স্বচ্ছ ভারত অভিযানের প্রচার চালানো হয়েছিল। সেই কার্ডটি টুইট করে পাত্রীর ভাই প্রধানমন্ত্রীকে ট্যাগ করে দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সেই টুইট শেয়ারও করা হয়েছিল। আরও বড় বিষয় হচ্ছে সেই পাত্রীর ভাইকে টুইটারে ফলো করাও শুরু করেছিলেন মোদি।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ তাফসীর