কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে স্কুটারে বসিয়ে ৬১০০ রুপি জরিমানা দিতে হলো সাবেক কংগ্রেস বিধায়ক ধীরাজ গুর্জারকে। হেলমেটে ছাড়া গাড়ি চালানোসহ একাধিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এই জরিমানা করা হয়।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পথে নেমে গ্রেফতার হওয়া সাবেক আইপিএস কর্মকর্তা এস.আর দারাপুরী এবং কংগ্রেস কর্মী সাদাফ জাফরের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে শনিবার লখনউতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর গাড়ি আটকায় পুলিশ। সে সময় কোনমতে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এক কংগ্রেস কর্মী প্রিয়াঙ্কাকে স্কুটারে বসিয়ে ওই দুই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন।
ওই দলীয় কর্মীর সঙ্গে কিছুটা স্কুটারে গিয়ে আর বাকি রাস্তা হেঁটে দারাপুরী এবং সাদফ জাফরের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু সে সময় তাদের কারো মাথায় হেলমেট ছিল না। এমনকি ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে তারা ওই জায়গা থেকে পালায় বলে অভিযোগ। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। প্রিয়াঙ্কাকে বহনকারী ওই স্কুটারের মালিক তথা কংগ্রেস কর্মীকে চিহ্নিত করা হয়। জানা যায় তিনি রাজস্থানের জাহাজপুর কেন্দ্রের সাবেক কংগ্রেস বিধায়ক ধীরাজ গুর্জার।
রবিবার ধীরাজের নামে যে ৬১০০ রুপির জরমিানা করা হয়, তার মধ্যে ২৫০০ রুপি ড্রাইভিং লাইসেন্স বাবদ, ৫০০ রুপি বিনা হেলমেটে গাড়ি চালানো, ৩০০ রুপি ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন, ৩০০ রুপি গাড়ির ভুয়া নাম্বার প্লেট লাগানো এবং ২৫০০ রুপি বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো বাবদ ধার্য করা হয়।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শনিবার ওই ঘটনার বিবরণ দেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। যোগী সরকারের বিরুদ্ধে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রিয়াঙ্কা। তার প্রশ্ন মাঝ রাস্তায় আমাকে আটকানো হলো কেন কি করে বলবো?একমাত্র ভগবানই বলতে পারবেন। রাস্তা বন্ধ করে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। কয়েকজন নারী পুলিশ আমার গলা টিপে ধরেছিল। আমাকে ধাক্কা দেয়া হয়। আমি পড়ে গিয়েছিলাম। পরে সেখান থেকে উঠে কোনমতে এক দলীয় নেতার স্কুটারে চেপে আমি সেখান থেকে বেরিয়ে আসি।
উত্তরপ্রদেশের পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এনে প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, পুলিশ তার গলাও টিপে ধরেছিল। যদিও প্রিয়াঙ্কার সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত