২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে দুইজনকে 'বাংলাদেশি নাগরিক' আখ্যা দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তার ছয় মাস পরেই ফের ভারতে প্রবেশ করে ওই দুইজন। এরপর সে দেশেরই এক আদালতে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদনও জানিয়েছেন তারা।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক হলফনামায় জানা গেছে মোহাম্মদ কালাম এবং মোহাম্মদ সালাম নামে দুইজনকে ভারতে অনুপ্রবেশ দেখিয়ে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। এর ছয় মাস পরে ভারতে ঢুকে পড়ে তারা।
২৬ বছর বয়সী কালাম, তার নাবালক ভাই, মা এবং মামা মো. সালাম দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে দাবি করেছেন জন্মসূত্রে তারা প্রত্যেকেই ভারতীয় নাগরিক।
দিল্লি হাইকোর্টে জমা দেওয়া আবেদনপত্রে কালাম জানায়, ১৯৯৪ সালের ১ জানুয়ারি দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তিনি ভারতের নাগরিক। কালাম ভারতীয় নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তাকে এবং তার মামা মহম্মদ সালামকে পুলিশ আটক করে। এরপর আইন অনুযায়ী সাজার মেয়াদ শেষে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এই চারজনই দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, তাদেরকে যেন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে গণ্য করা না হয় এবং এদেশে (ভারতে) তাদের ন্যায্য অধিকার রক্ষা করা হয়। তাদের যুক্তি, তাদের সঙ্গে এক নাবালকও আছে। হেনস্তা করার অভিযোগে আদালতের কাছে ক্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণেরও দাবি জানিয়েছেন ওই চার ব্যক্তি।
আদালতে কালাম আরো জানান, তার ভারতীয় আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, স্কুলে অধ্যায়নের সময় তার শিক্ষার সনদ সবকিছুই আছে। আর তাতেই প্রমাণিত হয় তিনি ভারতীয় নাগরিক। এমন কি উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জারি করা তার জন্মের সনদ রয়েছে বলেও আদালতকে জানান মোহাম্মদ কালাম।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল