চীন এবং ফিলিপাইনের মধ্যে ‘দক্ষিণ চীন সাগর’ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। সমুদ্রসীমা নিয়ে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বেইজিং- ম্যানিলা সম্মত হয়েছে। এছাড়া দুই দেশ শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিবাদ সমাধানের ব্যাপারেও সম্মত হয়েছে।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস এখন চীনে অবস্থান করছেন। তিনি বলেছেন দায়িত্ব নেওয়ার পরে চীনে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে বেইজিং-এর সাথে সম্পর্ক জোরদার করার ইচ্ছা রয়েছে তার।
মার্কোসের এই সফর বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তিনি ১৪টি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই করেছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার দুই দেশের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় পক্ষই ‘পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরে ভুল হিসাবনিকাশ এবং ভুল যোগাযোগ এড়াতে’ একটি যোগাযোগ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
মার্কোস জোর দিয়ে বলেছেন, তার পূর্বসূরি রদ্রিগো দুতার্তে পরাশক্তির সমালোচনা করতে নারাজ ছিলেন। কিন্তু তার মতো তিনি চীনকে এই অঞ্চলে ফিলিপাইনের সামুদ্রিক অধিকার পদদলিত করতে দেবেন না।
বেইজিং ‘সমগ্র দক্ষিণ চীন সাগর’ এর ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে। যদিও তাদের এই দাবির কোনো আইনি ভিত্তি নেই। আন্তর্জাতিক আদালতের এমন একটি রায়কে তারা উপেক্ষা করেছে।
ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া এবং ব্রুনাই দক্ষিণ চীন সাগরের কিছু অংশ দাবি করে থাকে। সূত্র: আল জাজিরা
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল