গাজা, লেবানন এবং সিরিয়ার কথিত ‘নিরাপত্তা অঞ্চলে’ অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদের সেনা মোতায়েন থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ। তার এ ঘোষণার কারণে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনা আরও কঠিন হয়ে যেতে পারে।
গত মাসে চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় ফের তীব্র হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর গাজার বিস্তৃত অঞ্চল (প্রায় অর্ধেক) দখল করে নেয় ইসরায়েলি সেনারা। এছাড়া গত বছর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে চুক্তির অংশ হিসেবে লেবানন থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সরে যাওয়ার কথা থাকলেও দখলদার ইসরায়েল তাদের সেনাদের প্রত্যাহার করে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এরসঙ্গে গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ার সাবেক স্বৈরাচার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার গোলান মালভূমির আরও বড় একটি অংশ দখল করে নেয় ইসরায়েল।
বুধবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, “অতীতের মতো ইসরায়েলি সেনারা যেসব অঞ্চল পরিষ্কার অথবা দখল করেছে সেসব অঞ্চল থেকে সরে যাচ্ছে না। সেনাবাহিনী গাজা— একইসঙ্গে লেবানন এবং সিরিয়ার এসব নিরাপত্তা অঞ্চলে, যেগুলো ইসরায়েল এবং শত্রুদের অঞ্চল থেকে ইসরায়েলি কমিউনিটিকে ভাগ করেছে, সেখানে অস্থায়ী অথবা স্থায়ীভাবে থাকবে।”
ফিলিস্তিন এবং তাদের প্রতিবেশী দেশগুলো ইসরায়েলি সেনাদের তাদের ভূমিতে অবস্থানকে সামরিক দখলদারিত্ব হিসেবে বিবেচনা করে, যা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ। হামাস জানিয়েছে, যতক্ষণ ইসরায়েলি সেনারা গাজা থেকে পুরোপুরি সরে না যাবে এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও জিম্মিকে তারা মুক্তি দেবে না।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন বিবৃতির পর ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবার একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে তারা বলেছেন, “সরকার কথা দিয়েছিল জিম্মিরা সবার আগে মুক্তি পাবে। কিন্তু জিম্মিদের আগে ইসরায়েল এখন ভূমি দখলকে প্রাধান্য দিচ্ছে। এই সমস্যার একমাত্র সমাধান হলো চুক্তির মাধ্যমে সব জিম্মিকে একসঙ্গে মুক্ত করে আনা। যদি এটি স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের মাধ্যমেও হয়।” সূত্র: এপি, আরব নিউজ
বিডি প্রতিদিন/একেএ