হামাস গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের ইঙ্গিত দিয়েছে এবং ১৮ মাস ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে একটি ‘গঠনমূলক’ চুক্তির আহ্বান জানিয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাসের প্রধান আলোচক তার এক বক্তব্যে একথা জানান।
গাজা সিটি থেকে এএফপি জানায়। এর আগে গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের উদ্ধারকারীরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিক। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েল তাদের হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা হামলার খবরগুলো খতিয়ে দেখছে।
হামাসের একটি সূত্র এএফপি’কে জানিয়েছে, ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলের সর্বশেষ প্রস্তাবের বিষয়ে তারা বৃহস্পতিবার মধ্যস্থতাকারীদের কাছে লিখিত প্রতিক্রিয়া পাঠিয়েছে। হামাস এতে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ১,২৩১ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তি এবং গাজায় ২ মার্চ থেকে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ থাকা মানবিক সহায়তা প্রবেশের আহ্বান জানিয়েছে।
হামাস জানায়, ইসরায়েল তার প্রস্তাবে হামাসের হাতে আটক ১০ জন জীবিত জিম্মির মুক্তি চায় এবং যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছে। যে দাবিটি হামাস এর আগে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া টেলিভিশনে এক বিবৃতিতে বলেছেন,‘ বেনিয়াামিন নেতানিয়াহু তার রাজনৈতিক এজেন্ডার আড়াল হিসেবে আংশিক চুক্তি কার্যকর করছেন আমরা এই নীতিতে জড়িত হব না।’
তিনি বলেছেন, হামাস ‘যুদ্ধ বন্ধ, গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং ভূখণ্ডে পুনর্গঠন শুরু এবং বন্দী বিনিময়ের মাধ্যমে স্থায়ী চুক্তি চায়।’
পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি ১৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে দুই মাস পর সেটি ভেঙে যায়। ইসরায়েল প্রথম দফার মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দিলে অন্যদিকে হামাস জোর দিয়েছিল দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য আলোচনা অনুষ্ঠিত হোক, যেমনটি জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন উল্লেখ করা হয়েছিল।
১৮ মার্চ, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানুয়ারিতে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় পুনরায় সামরিক অভিযান শুরু করে গাজায় তীব্র হামলা চালায়। -বাসস
বিডি-প্রতিদিন/শআ