প্রতিটি মানুষের জীবনেই একজন ভালোবাসার মানুষ থাকে। আর সেই ভালোবাসার মানুষটির সাথে একান্ত সময় কাটাতে ব্যাকুল থাকে যে কেউ। সারাদিন নানা ব্যস্ততা শেষে দুজন মিলে কিছু বিশেষ সময় কাটাতে কার না মন চায়? তবে প্রিয় মানুষের সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে একটু অসাবধানতার কারণে তৈরি হতে পারে অনেক বড় ভুল বোঝাবুঝি। এছাড়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে সম্পর্কের মধুরতাও।
কিছু বিশেষ কথা আছে যেগুলো দুজনের একান্ত মূহূর্তে কখনই আলোচনা করা উচিত নয়। এসব কথা একবার বলে ফেললে সারা জীবনের জন্য নিজেদের দাম্পত্য জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেইসঙ্গে দুজনের মধ্যে ভুল বোঝাবোঝির সৃষ্টি হয়।
অফিস কিংবা অন্য অপ্রাসঙ্গিক কথা
অনেকেই নিজেদের একান্ত মুহূর্তে অফিসের বিভিন্ন সমস্যা কিংবা অন্য কোনো অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে থাকেন। অফিসে ঝামেলা হয়েছে, কালকের বাজার নেই, চুলায় ভাত বসানো আছে ইত্যাদি কথাগুলো একান্ত মুহূর্তে বলার মতো কোনো কথা না। এসব কথা বলার জন্য আরো অনেক সময় পাওয়া যাবে সারাদিন। একান্ত মুহূর্তে এ ধরনের কথা বললে সঙ্গীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে অনেকে। ফলে শারীরিক ও মানসিক দূরত্ব সৃষ্টি হয় ধীরে ধীরে।
ফোনটা ধরি!
দুজনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তে একে অপরের দিকে মনোযোগ দেয়া উচিত। তাই এ সময়ে নিজেদের কম্পিউটার, ফোন, ফেসবুক ইত্যাদি থেকে দূরে রাখা উচিত। দুজনের একান্ত সময়ে যদি ফোন আসে তাহলে সেটা খুবই বিরক্তিকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় সঙ্গীর জন্য। এক্ষেত্রে অতি জরুরি ফোন না হলে কোনো ক্রমেই তা রিসিভ করা উচিত নয়। এছাড়াও নিজেদের একান্ত মুহূর্তগুলোতে ফোন বন্ধ রাখা অথবা রিং টোন বন্ধ রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।
বিপরীত লিঙ্গের অন্য কারো কথা
স্বামী-স্ত্রীর একান্ত মুহূর্তে কোনো ক্রমেই বিপরীত লিঙ্গের কারো কথা বলা উচিত নয়। বিপরীত লিঙ্গের বন্ধু, প্রাক্তন প্রেমিক কিংবা সহকর্মী কারো কথাই নিজেদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তে আলোচনা করা উচিত না। এ ধরনের কথা একবার বলে ফেললে দুজনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে সন্দেহ করার প্রবণতা দেখা দেয়।
সঙ্গীর খুঁত না ধরা
নিজেদের একান্ত মুহূর্তে কখোনোই সঙ্গীর কোনো খুঁত ধরা উচিত নয়। সঙ্গীর শরীরে কিংবা মুখে গন্ধ থাকলে সেটা তাকে পরে বুঝিয়ে বলুন। কিন্তু একান্ত মুহূর্তে ভুলেও ধরনের কোনো কথা বলবেন না। কারণ এতে সঙ্গীর আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যায় এবং পরবর্তিতে দুজনের মানসিক ও শারীরিক দূরত্ব বেড়ে যায়।