হতাশা একটি মানসিক রোগ। যে কোনো বয়সেই হতাশা মানুষকে গ্রাস করতে পারে। তবে সাধারণত উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীদেরই এ রোগে ভোগার পরিমাণ বেশী। এ বয়সে মানুষের স্বপ্নের পরিধি থাকে বিশাল আর তা ভেঙে গেলে সেই মানসিক চাপ নেবার ক্ষমতা অধিকাংশ তরুণ-তরুণীদেরই থাকে না।
কিছু লক্ষণ দেখলে সহজেই বোঝা সম্ভব আপনার সন্তানটি হতাশায় ভুগছে কিনা-
১. সারাক্ষণই মন খারাপ থাকা এবং নিজেকে অসহায় মনে করা
২. রাগের পরিমাণ মাত্রারিক্ত বেড়ে যাওয়া
৩. নিজেকে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব সবকিছু থেকে গুটিয়ে নেওয়া
৪. আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া
৫. সবকিছু থেকে মনোযোগ হারিয়ে ফেলা
৬. ওজন হ্রাস পাওয়া
৭. ঘুম ও খাবারের অভ্যাসে পরিবর্তন
৮. নিজেকে সবসময়ই ক্লান্ত অনুভব করা
৯. সেলফ ডিসট্রাকটেড ও আত্মহত্যার চিন্তা সর্বক্ষণ করা
উপরের লক্ষণগুলো যদি কারো মধ্যে দেখা যায় তবে নিঃসন্দেহে সে হতাশা রোগে আক্রান্ত। তবে এর মধ্যে যে কোনো একটি/দুটি লক্ষণ দেখা গেলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আপনার সন্তানটি যদি হতাশাগ্রস্ত হয়ে থাকে অবশ্যই তাকে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। যদি তার যথাযথ চিকিৎসা না হয় তাহলে এর ফলাফলটাও যথেষ্ট ভয়াবহ হতে পারে! যেমন- পড়াশুনা ও অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে সে পিছিয়ে পরতে পারে। সবার সাথে হয়ত সঠিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে না পারবে না। যৌনতা বিষয়ক সমস্যা হতে পারে। সর্বোপরি যে কোনো সময় আত্মহত্যার মতো ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডে লিপ্তও হতে পারে।