এই গরমে কি খেলে ভালো লাগবে বা কোন খাবারে ক্ষতি হবে না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান অনেকেই। উল্টা-পাল্টা খাবার না খেয়ে স্বাস্থ্যকর ও ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এসব খাবারের তালিকায় অবশ্যই রাখা উচিত মাংস। তবে সেটা মুরগির মাংস হলে বেশি ভালো।
একজন শিশু ও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির প্রত্যেক দিন শরীরে প্রোটিনে উচ্চ চাহিদা রয়েছে। এতে শরীরের হাড়, পেশী ও ত্বক ভালো থাকে। স্নেহ ও শর্করার মতো প্রোটিন দেহের অন্যতম প্রধান পুষ্টি সরবরাহকারী উপাদান। মুরগির মাংস মানবদেহে উচ্চ হারে প্রোটিন সরবরাহ করে। এই মাংসে আট রকমের অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। পাশাপাশি এই মাংসে ফ্যাট বা স্নেহজাতীয় পদার্থ কম থাকে। ফলে মানবদেহ সহজেই মুরগির মাংস হজম করতে পারে। মুরগির মাংসে যথেষ্ট লোহা বা আয়রন থাকে যা শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে করে কোষকে বড় হতে সাহায্য করে।
'চিকেন, দ্য বেস্ট সোর্স অফ প্রোটিন' শীর্ষক এক আর্টিকেলে এমনটাই দাবি করেছেন প্রোটিন ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন ডিপার্টমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডা. জে এস পাই।
শিশু ও টিনএজারদের বাড়ন্ত শরীরে উচ্চ প্রোটিনের দরকার। এতে শরীরের কোষগুলো দ্রুত বাড়তে থাকে। গর্ভবতী নারীদেরও প্রোটিনের দরকার। পাশাপাশি খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন যারা, তাদেরও দৈহিক কসরতের জন্য প্রোটিনের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের প্রযয়োজন। মুরগির মাংস মানবদেহে উচ্চ প্রোটিন সরবরাহ করে। পাশাপাশি দুধ, চিজ, মাংস, ডিম, বাদামও শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে প্রোটিন।
ডাক্তাররা বলছেন, ১৭০ গ্রাম মুরগির মাংস ৪২.৫ গ্রাম প্রোটিন সরবরাহ করে। ১০০ গ্রাম রান্না করা মুরগির মাংসে মাত্র ১ গ্রাম ফ্যাট থাকে। যা অন্যান্য প্রাণীর মাংসের চেয়ে মানবদেহ অনেক সহজে হজম করতে পারে। তাই সারা বছরই মুরগি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।