ফলের জুস গরমে দেহে পানির ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি কমিয়ে ফেলে আপনার বাড়তি মেদ বা ওজন। বাজারে যেসব জুস পাওয়া যায় সেগুলোতে প্রচুর চিনি ও কেমিকেল মেশানো থাকে। যা আপনার দেহের উপকারের বদলে ক্ষতিই করে থাকে। তাই ঘরেই তৈরি করে নিন ফলের জুস।
লেবুর জুস
খালি পেটে সকালে এক গ্লাস লেবুর রস খানিকটা মধু মিশিয়ে খেলে এটি আপনার শরীরের বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করে দেব, হজমশক্তি বাড়াবে ও মেদ পোড়ানোর কাজ করে সহজেই ওজন কমিয়ে আনবে।
গাজরের জুস
গাজরের জুসে আছে উচ্চ পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, বি-১, বি-৩, বি-৬, সি, কে ও প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট, যা আপনার শরীরের মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে দ্রুত আপনার ওজন কমায় সেই সাথে প্রতিরোধ করে নানা সংক্রামক রোগও।
তরমুজের জুস
তরমুজের জুসে থাকে ইলেক্ট্রোলাইটস, ভিটামিন ও মিনারেল অন্যান্য ওজন কমানোর পদ্ধতির মতন আপনাকে বিন্দুমাত্র দূর্বল বা শক্তিক্ষয় না করেই ওজন কমিয়ে ফেলে। সেই সাথে প্রচুর পানির কারণে আপনার ত্বকও থাকে সতেজ।
এলোভেরার জুস
এলোভেরার জুস অনেকেই খেতে চান না কেননা এটা খেতে তেমন সুস্বাদু নয়। কিন্তু একটু খানি মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন এক গ্লাস এর পুষ্টিকর উপাদান যে আপনার ওজনই কমাবে না বরং আপনার ত্বক ও চুলেও নিয়ে আসবে বাড়তি জেল্লা!
শসার জুস
শসা এমনি খান বা জুস বানিয়ে খান, দুটোই ভীষন কাজে লেগে যাবে ওজন কমাতে। সেই সাথে অন্যান্য ডায়েট প্ল্যানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মত আপনার দেহে পানিশূন্যতাও তৈরী হবে না।
ডালিমের জুস
ডালিমের কোয়াগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। প্রতিদিন এক গ্লাস খেয়ে দেখুন, ওজন কমার পাশাপাশি এটি আপনার দেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করবে।
তবে ওজন কমাতে জুস খাবার সময় মনে রাখুন:
# জুসে চিনির বদলে মধু মিশিয়ে খান। চিনির কারণে ওজন বাড়ে।
# একবারে জুস বানিয়ে ফ্রিজে রেখে ৪/৫ দিন ধরে খাবেন না। ফ্রেশ জুস খাবার চেষ্টা করুন।
# জুসে লবন বা বিট লবন ব্যবহার করবেন না। এটি হার্টের জন্যে ক্ষতিকর।