সবাইতো সুখী হতে চায়... প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী প্রায়াত মান্না দের এই গান শোনেনি এমন মানুষ খুব কমই আছে। সুখী হতে চায় জগতের সবাই। কিন্তু সবার ভাগ্যে সুখ জোটে না। আবার কেউ বা সুখ ধরে রাখার মন্ত্র জানে না। কিংবা কি করে সুখে থাকা যায় তাও জানেনা অনেকে। দাম্পত্য জীবনে সুখে থাকাটা খুব জরুরি। এই সুখ প্রয়োজন শরীর ও মন দুদিক থেকেই। তবে শুধু যৌনসঙ্গমই সে সুখ এনে দেয় না। প্রয়োজন আরও কিছু। সে সুখের সাত-সতোরে নিয়েই আজকের জীবন ধারা।
সর্ম্পকের মূল তিনটি স্তম্ভ হল ভালোবাসা, বিশ্বাস ও সম্মান। সম্মানহানি হয় এরকম কোনও কাজ করাই উচিত নয়।
চিকিৎসকেরা মনে করেন, ব্যস্ত যুগে কাজের চাপে বহু দম্পতি সঙ্গম থেকে দূরে থাকেন। কিন্তু অন্যদিকে আবার দাম্পত্যকে সুখী করে তুলতে শরীরি মিলন ভীষণ প্রয়োজন। তাই বরং ভাগ করে নিন দিনগুলো। ডাক্তাররা মনে করেন, দম্পতিকে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে তিনদিন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া উচিত। আর অন্যান্য দিন অল্প আদর থাকুক সঙ্গে।
প্রেম মানেই শুধু যৌনসঙ্গম নয়। তার চেয়ে বরং মাঝে মাঝে প্রেম থাকুক উত্তেজনার বর্ডারে। হালকা আদরেই ভিজে যাক প্রিয়জনের মন।
ইচ্ছে করলে একটু কাছাকাছি এসে প্রেমের গল্পও করতে পারেন। সাহায্য নিন কোনও প্রেমমূলক গল্পের বই। কিন্তু তাই বলে পর্ন বইকে পাত্তা দেবেন না একেবারেই। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
ইচ্ছে করলে হলিউড, বলিউডের প্রেমের সিনেমা দেখুন। ঘর অন্ধকার করে মিষ্টি গানও শুনতে পারেন।
লাভ ম্যারেজ হলে পুরনো দিন মনে করুন। আর অ্যারেঞ্জ হলে বরং সংসারকে নতুন করে কীভাবে রঙিন করা যায় তা ভেবে ফেলুন।
দাম্পত্যে অল্প 'সেক্স' যেমন অশান্তি আনতে পারে, তেমনি অতিরিক্ত যৌনতাও ক্ষতি করতে পারে সর্ম্পকে। অতিরিক্ত সেক্সের ফলে যেমন শরীরের ক্ষতি হতে পারে, তেমনি ক্ষতি হতে পারে মনের। তাই এ ব্যাপারটি নিয়ন্ত্রনে রাখাই ভালো।
সবশেষে মাঝে মধ্যে ছুটির দিনে বেরিয়ে পড়ুন দু'জনে। না হয় মাসে একবার ফের চুটিয়ে নস্ট্যালজিক হয়ে পড়ুন প্রথম হানিমুনের কথা মনে করে।