চুল, ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখার ক্ষেত্রে পানির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিমাণে পানি খেলে রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে এবং ত্বক ও চুল মসৃণ, উজ্জ্বল হয়।
ওয়াটার থেরাপি দুইভাবে করা হয়। ১. ইন্টারনাল ও ২. এক্সটারনাল।
ইন্টারনাল থেরাপি:
ইন্টারনাল থেরাপি বলতে বোঝায় সারাদিনে কত গ্লাস পানি খেলে সুস্থতা বজায় থাকবে। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি খাওয়া দরকার। পানি খেলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়। পানি কম খেলে কনস্টিপেশনের সমস্যা দেখা যায়। ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে যা ক্ষতিকারক। তাই প্রতিদিন নিয়মিত পানি খাওয়া দরকার।
এক্সটারনাল থেরাপি:
এক্সটারনাল থেরাপি বলতে বোঝায় পানির ব্যবহারের মাধ্যমে শরীর ও ত্বকের যত্ন নেয়া। নানারকম পদ্ধতির মাধ্যমে এই থেরাপি করা হয়। ভিন্ন ভিন্ন টাইপের হার্বস, দুধ, পানি দিয়ে গোসলের ব্যবস্থা রয়েছে। বডি স্টিম, ফেশিয়াল ও বডি প্যাকের ব্যবহার করা হয়। সঙ্গে বডি ম্যাসাজও জরুরি।
ওয়াটার থেরাপির উপকারিতা:
- ওয়াটার থেরাপিতে পিঠ ও গলার অংশের বিশেষ যত্ন নেয়া সম্ভব। ঈষদুষ্ণ পানিতে সি সল্ট মিশিয়ে গোসল করলে পিঠ, গলা ও ঘাড়ের অংশের ক্লান্তি দূর হবে। শাওয়ারের তলায় এমনভাবে মাথা ঝুঁকিয়ে দাঁড়াতে হবে যেন পিঠ ও ঘাড়ের অংশে জোরে শাওয়ারের পানি পড়ে। দারুণ আন্ডারওয়াটার ম্যাসাজ হবে। এই পদ্ধতিকে বলে হাইড্রোথেরাপি।
- সারাদিনের কর্মক্লান্ত শরীরে বাড়ি ফিরে অল্প গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে তাতে পা ডুবিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। পা নরম, মসৃণ হবে। এতে সারাদিনের ক্লান্তি কেটে যাবে, পায়ের ব্যথা কমবে।
- মনে রাখতে হবে ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে গোসল করলে ত্বকে রিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা যায়। এতে ত্বক কুঁচকে যায়। আবহাওয়া অনুযায়ী ত্বকের পরিচর্যা দরকার। শুষ্ক আবহাওয়ায় ভেজা ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগানো যেতে পারে। তুলনামূলকভাবে অন্যান্য ত্বকের চেয়ে শুষ্ক ত্বকের জন্যে তেল ও পানির মিশ্রণের ম্যাসাজ উপকারী।