ভারতীয় উপমহাদেশে ধর্মগ্রন্থ বেদ-এ উল্লেখিত চিকিৎসা ব্যবস্থা আয়ুর্বেদ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি বলে বিবেচিত ছিল। পরবর্তীতে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবস্থার ক্রমোন্নতির ফলে পিছিয়ে পড়তে থাকে আয়ুর্বেদ বা ভেষজ চিকিৎসা। আজকাল পুনরায় মানুষের আগ্রহ বাড়ছে আয়ুর্বেদে।
অনেক ক্ষেত্রেই অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার চাইতে আয়ুর্বেদ বেশি কাজ দেয় বলে মানুষের বিশ্বাস। প্রাচীন আয়ুর্বেদের মূল কথাই হল রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। আয়ুর্বেদ, ইউনানী বা যোগের মতো প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে এ চিকিৎসায় ওষুধ দ্রুত কাজ করে না। ঠিকঠাক অনুপান দিয়ে দীর্ঘসময়ে ধরে খেতে হয়।
প্রায় ৫০০০ বছরের পুরনো আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতি হারিয়ে যেতে যেতে ফের ফিরে আসছে। সম্প্রতি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ব্যাপারে সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ঢাকায় আঞ্চলিক এক স্বাস্থ্য সম্মেলনে দু'দেশের সরকারের মধ্যেএই সমঝোতা হয়েছে।