কষ্ট করতে কে ভালবাসে বলুন? সিঁড়ির পাশে যদি লিফট থাকে, তখন সিঁড়ি বাদ লিফট অন। এক মুহূর্তে নিচ থেকে উপরে উঠতে বা নামতে গেলে লিফট আধুনিকতার এক দিক। অবশ্য যাদের বয়স হয়ে গেছে বা পায়ে ব্যথা তাদের জন্য লিফট ঠিক আছে। এসব বাদে, লিফটের চেয়ে সিঁড়িও সমানভাবে কার্যকরী ও শরীরের পক্ষে উত্তম।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠলে জগিংয়ের তুলনায় শরীর থেকে প্রতি মিনিটে বেশি ক্যালরি ঝরে। শুধু ওপরে উঠলেই নয়, নিচে নামলেও তা ঘটে। সিঁড়ির একটি ধাপ পার করার অর্থ গড়ে ০.১ ক্যালরি ঝেড়ে ফেলা। তাহলে ১০ ধাপ এগোলেই এক ক্যালরি ঝরবে। এভাবে একধাপ নিচে নামলে গড়ে ০.৫ ক্যালরি পুড়বে। তাহলে স্রেফ ২০ ধাপ নিচে নামলেই এক ক্যালরি ঝেড়ে ফেলা সম্ভব।
হার্ভার্ড আলামনাই হেলথ স্টাডিতে জানা যায়, নিয়মিত সিঁড়ি ভাঙলে স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেক কমে যায়। এছাড়াও দৈনিক সিঁড়ি ব্যবহারের ফলে কার্ডিওভাসকিউলার ফিটনেস আরো উন্নত হয়। যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। দিনে ১৫ মিনিট অ্যারোবিক্স অ্যাক্টিভিটি করলে বয়স অন্তত তিন বছর বেড়ে যেতে পারে।
রোজ সিঁড়ি বেয়ে উঠলে পা, অ্যাব, হাত, পিঠের পেশি আরো শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান হয় যা শক্তিশালী মাসকিউলোস্কেলিটাল ব্যবস্থা গড়ে তোলে। স্কেলিটাল পেশি মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে আরো বেশি পরিমাণ ক্যালরি পোড়ে। এমনকি স্কেলিটাল পেশি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। মাসকিউলোস্কেলিটাল আর্থারাইটিসের ব্যথাও কম করে।
এখন আমরা বড্ড বেশি যন্ত্র নির্ভর হচ্ছি একথা সবারই জানান। শরীর ঠিক রাখতে গেলেও জিমে দৌড়তে হয়। এক্ষেত্রে আমরা যদি যন্ত্রকে বেশি গুরুত্ব না দিয়ে একটু মাঠে দৌঁড়াই বা যোগব্যায়াম করি ও লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করি তাহলে শরীরের কাঠামো যেমন সুন্দর হবে তেমনি শরীর ও মন ভালো থাকবে।