প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য হাজির করছেন গবেষকরা। এবার তারা জানিয়েছেন, মোটা হওয়ার পেছনে শুধু খাবার, জিনগত প্রভাব বা কায়্যিক পরিশ্রমের অভাবই দায়ী নয়, উচ্চশব্দও বাড়িয়ে দেয় ওজন। গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত শব্দের প্রভাবে মানুষও ক্রমে দানবাকৃতিতে পরিণত হয়৷
৫০০০-এরও বেশি স্থূলকায় মানুষের উপর গবেষণা করে দেখা গেছে, প্রত্যেকেই রেল স্টেশন, বিমান বন্দর অথবা ব্যস্ত রাস্তার ধারে বসবাস করেন৷ তারা যানবাহনের শব্দের প্রভাবে ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন৷ রাতে বিছানায় শুয়েও ঘুমোতে পারেন না৷ যার প্রভাব পড়ে পরের দিনের কাজের উপর৷ নতুন কাজ করা তো দূরের কথা প্রতিদিনের রুটিন মেনে কাজ করার মতো ন্যূনতম উত্সাহও পান না৷ ফলে কায়িক পরিশ্রমের পরিমাণও দিনে দিনে কমে৷ এর ফলেও বাড়তে থাকে ওজন৷
শুধু তাই নয়, শব্দদূষণ সরাসরি দেহের বিপাক ক্রিয়াকে প্রভাবিত করে৷ যার প্রভাবে দেহের মধ্যভাগে অর্থাত্ পেটে মেদ জমতে থাকে৷ বাড়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা৷ শব্দদূষণ ও অনিদ্রা রক্তে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বদলে দেয়। মানসিক উদ্বেগ বাড়ে৷ তার হাত ধরে আসে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, হৃদরোগ৷
সুইডেনের চিকিৎসক পিকো জানিয়েছেন, দেহের হরমোন ক্ষরণ, গ্লুকোজ রেগুলেশন এবং হৃদযন্ত্রে সক্রিয়তার জন্য যেমন ঘুমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, তেমনই ঘুমের ব্যাঘাতে দেহের বিভিন্ন্ রকম জটিলতার সৃষ্টি হয়৷ গবেষণায় দেখা গেছে, অনিদ্রার ফলে মস্তিষ্কের ক্ষুধাকেন্দ্র সক্রিয় হয়৷ মস্তিষ্কের প্রভাবেই বেশি খিদে পায়৷ এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়৷
বিডি-প্রতিদিন/২৯ মে ২০১৫/ এস আহমেদ