প্রতিবছর ক্যান্সারে আক্রান্ত অসংখ্য মানুষ যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুবরণ করছেন এবং নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, ক্যান্সারের প্রতিষেধক আজ পর্যন্ত আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। প্রাচীন চিকিৎসা বিদ্যায় একটি কথা রয়েছে, তা হচ্ছে 'প্রতিষেধকের চাইতে প্রতিরোধ মঙ্গল'। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা গ্রহণের চাইতে ক্যান্সারের কোষ দেহে বাসা বাঁধতে বাঁধা প্রদান করাই ভালো। ভাবছেন কীভাবে করবেন? দৈনন্দিন জীবনযাপনে সামান্য পরিবর্তন এনেই অনেকাংশে ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব। এমনকি সাধারণ মসলা জাতীয় খাবারেও মরণব্যাধী ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব। নিচে তেমনই চারটি মসলা নিয়ে আলোচনা করা হলো :
হলুদ : এমন কোনো খাবার নেই যা রান্না করার সময় বাঙালিরা হলুদ ব্যবহার করে না। কিন্তু রান্নার কাজে ব্যবহৃত গুঁড়ো হলুদের পাশাপাশি সমান কার্যকরী কাঁচা হলুদ। হলুদের কারকিউমিন দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাঁধা প্রদান করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। রান্নায় ব্যবহারের পাশাপাশি দুধে হলুদ মিশিয়ে, কাঁচা হলুদ খেয়ে এমনকি হলুদের চাও পান করতে পারেন।
রসুন : গবেষণায় দেখা গেছে, রসুনের অর্গেনোসালফার উপাদান সমূহ কোলন, পাকস্থলী, খাদ্যনালী, অগ্ন্যাশয় এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। কারণ এই অর্গেনোসালফারের রয়েছে অ্যান্টি কারসিনোজেনিক উপাদান এবং দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করার ক্ষমতা যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
আদা : বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, আদায় বিদ্যমান জিঞ্জেরোন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সারের কোষের দেহে বাসা বাঁধতে বাঁধা প্রদান করে। প্রতিদিন রান্নায় আদা ব্যবহারের পাশাপাশি আদা কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা আদা চা তৈরি করে পান করতে পারেন। এতে করে হজম সংক্রান্ত সমস্যাও দূর হয়।
গোলমরিচ : গোলমরিচে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের একটি গবেষণায় দেখা যায়, হলুদের পাশাপাশি গোলমরিচ স্তন ক্যান্সার ও স্তনে টিউমারের কোষ বৃদ্ধিতে বাঁধা প্রদান করে। সূত্রঃ everydayhealth
বিডি-প্রতিদিন/২৯ মে ২০১৫/শরীফ